Hooghly: স্বামীর দর উঠল ৭০ হাজার! বড় দাঁও মেরে দিলেন স্ত্রী
Hooghly: ভোরে প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়ে এক মহিলা দেখতে পান রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে একটি ফাঁকা জায়গায়। তারপর পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। যুবকের সৎ মা নাগরানি মুদালিয়া চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
হুগলি: সত্তর হাজারে খুন! টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয়েছিল খুনিদের। হুগলির কানাগড়ে যুবক খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে। গত বৃহস্পতিবার রাতে দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কানাগড়ের ভাঙা মসজিদ এলাকায় খুন হন রমেশ মুদালিয়া নামে এক যুবক। পরদিন ভোরে প্রাতঃভ্রমণ করতে বেরিয়ে এক মহিলা দেখতে পান রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে একটি ফাঁকা জায়গায়। তারপর পুলিশ খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন ছিল। যুবকের সৎ মা নাগরানি মুদালিয়া চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে চুঁচুড়া থানা ও চন্দননগর পুলিশের গোয়েন্দারা মৃত যুবকের স্ত্রী সারদা মুদালিয়া ওরফে ভারতী ও শাশুড়ি ইন্দ্রা স্বামীকে গ্রেফতার করে। চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে দশ দিনে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, সারদার সঙ্গে ব্যান্ডেলের বিকাশ মেহালি নামে এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। যা নিয়ে রমেশ সারদার অশান্তি হয়। তাতে মদত ছিল যুবকের শাশুড়ির।
তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে, সারদা ও বিকাশ পরিকল্পনা করে রমেশকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার। সেইমতো তিন জনকে তাঁরা ভাড়া করে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে।টাকা হাতে পাওয়ার পর প্ল্যান কার্যকর করার চেষ্টা চলে।
একসঙ্গে বসে মদ্যপান করতে বসে দু’জন। নেশা হয়ে গেলে যুবককে চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। চন্দননগর পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না রমেশ। তাই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি হত। প্রেমিকের সঙ্গে ছক করে স্বামীকেই শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন স্ত্রী। টাকা দিয়ে সুপারি কিলারও ভাড়া করেন। পুলিশ বিকাশ-সহ তিন ভাড়াটে খুনি পরীক্ষিত সোম ওরফে বাপি,অভিষেক রাজভর ওরফে আশিস, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস ওরফে বাবুকে গ্রেফতার করে।