Asteroid: ৪৭,১৯৬ কিলোমিটার বেগে ইয়াব্বড় গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর বুকে, মে মাসের শেষেই ভয়ঙ্কর বিপদ!

1989 JA: বিরাট বড় একটি গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর বুকে। ভয়ঙ্কর বিপজ্জনক সেই অ্যাস্টারয়েড মে মাসের শেষ দিকেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।

Asteroid: ৪৭,১৯৬ কিলোমিটার বেগে ইয়াব্বড় গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর বুকে, মে মাসের শেষেই ভয়ঙ্কর বিপদ!
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 02, 2022 | 7:06 PM

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশালাকার গ্রহাণু (Asteroid)। বিপজ্জনক সেই গ্রহাণু ১.৮ কিলোমিটার প্রশস্ত, সূর্যের চারপাশে ঘোরার সময় পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে চলেছে। মে মাসের শেষ দিকেই পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে ওই গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড। মহাকাশবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ৪৭,১৯৬ কিলোমিটার বেগে বিস্ময়কর গতিতে অতিক্রম করছে গ্রহাণুটি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সেই গ্রহাণু কী পৃথিবীতে ভয়ঙ্কর ক্ষতিসাধন করতে চলেছে? নাসার তরফ থেকে বলা হচ্ছে, গ্রহাণুটি বিশেষ কোনও ক্ষতিসাধন ছাড়াই পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে। যদিও সেই এলিয়নের মতো বস্তুটিকে বিপজ্জনক হিসেবেই শ্রেণীবদ্ধ করছে নাসা। ১৯৮৯ সালে পালোমার অবজ়ারভেটরিতে আবিষ্কৃত হওয়ার কারণে এই অ্যাস্টারয়েডের নাম ১৯৮৯ জেএ (1989 JA)। বাইনোকুলার ব্যবহার করে এটিকে দেখা গিয়েছে, যখন সেটি কক্ষপথের খুব কাছাকাছি চলে আসে।

জানা গিয়েছে, গ্রহাণুটি পৃথিবীর ৪০,২৪,১৮২ কিলোমিটার কাছাকাছি আসবে, যা কোনও একটি বস্তুর প্রভাবে উড়ে যাওয়ার জন্য বিপজ্জনক ভাবে যথেষ্ট কাছাকাছি একটা দূরত্ব। ১৯৯৬ সালে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সবথেকে কাছাকাছি এসেছিল। মহাকাশবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে, চার মিলিয়ন দূরত্ব থেকে পৃথিবীকে অতিক্রম করেছিল ১৯৮৯ জেএ নামক গ্রহাণুটি।

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে এই অ্যাস্টারয়েডকে অ্যাপোলো গ্রহাণু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নাসার তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০২২ সালের মে মাসের পর আবার ২০২৯ সালের সেপ্টেম্বরে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে ওই গ্রহাণুটি। আর তারপরে ২০৫৫ এবং ২০৬২ সালেও ওই গ্রহাণুর পৃথিবীর বুকে ধেয়ে আসার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে।

গ্রহাণু কী, খায় না মাথায় দেয়? অনেকের কাছেই তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। আজ থেকে প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগে সৌরজগৎ গঠনের সময় তা থেকে অবশিষ্ট পাথরের টুকরোই হল গ্রহাণু বা অ্যাস্টারয়েড। নাসার জয়েন্ট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল) এই গ্রহাণুগুলির গতিবিধি ট্র্যাক করে। একটি গ্রহাণুকে তখনই পৃথিবীর কাছাকাছি বস্তু হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়, যখন আমাদের গ্রহ থেকে একটা গ্রহাণুর দূরত্ব পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্বের ১.৩ গুণ বা প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মাইলের কম হয়।

শেষ যে বড় গ্রহাণুটি পৃথিবীর খুব কাছে চলে এসেছিল, সেটি ১৩৮৯৭১ (২০০১ সিবি২১)। সেই অ্যাস্টারয়েড ১.৩ কিলোমিটার প্রশস্ত এবং পৃথিবীর প্রায় ৪১,১১,২৯৮ কিলোমিটার কাছে চলে এসেছিল। পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাওয়ার পরই সেই গ্রহাণু এখন সূর্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। ৪০০ দিনের মধ্যেই তার কক্ষপথ অতিক্রম করছে বিশালাকার গ্রহাণুটি।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপির আকাশে একটি উল্কা বিস্ফোরিত হয়েছিল। আরকানসার লুইসিনিয়ার লোকজন জানিয়েছিলেন যে, তাঁরা একটি আগুনের গোলার ঝলকানি চাক্ষুষ করেছিলেন। পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা জানান যে, ওই অবজেক্টটি আসলে বোলাইড। সেই অবজেক্ট প্রতি ঘণ্টায় ৫৫,০০০ কিলোমিটার গতিবেগে আমেরিকার দক্ষিণপশ্চিম প্রান্তে আছড়ে পড়ে। আর তার পরে সেটি টুকরো টুকরো হয়ে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে মিশে যায় বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: এক সরলরেখায় পৃথিবী আর চাঁদ, মঙ্গলগ্রহ থেকে অপরূপ দৃশ্য ধরা পড়ল নাসার মার্স অরবিটারে

আরও পড়ুন: একই সরলরেখায় অবস্থান করবে চারটি গ্রহ, ‘সংঘর্ষ’ হবে শুক্র এবং বৃহস্পতি গ্রহের!

আরও পড়ুন: দুয়ারে গ্লোবাল ওয়ার্মিং! আলুর ‘দোষে’ও জলবায়ু পরিবর্তনের ছায়া