Snakes Hissing Sound: সামনে দাঁত নেই, তা-ও সাপেরা ‘হিস-হিস’ শব্দ করে কীভাবে? কারণটা জানলে অবাক হয়ে যাবেন
Snake Scientific Facts: সামনে কোনও দাঁত না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে শব্দ বের করে সাপেরা? তার থেকেও বড় আশ্চর্যের বিষয়টি হল, সাপেরা কিন্তু জিভ বের করেই হিস-হিস শব্দ করে।
Snakes Unknown Facts: কখনও নিজের মুখে একবার সাপের মতো শব্দ করে দেখেছেন? একবার চেষ্টা করে দেখুনই না। যদি সত্যিই সাপের মতো ‘হিস-হিস’ শব্দ করেন, তাহলে লক্ষ্য করবেন, আপনার জিহ্বা সামনের দাঁত স্পর্শ করছে। সামনের দাঁত ছাড়া এই শব্দ আপনি করতেই পারবেন না, অসম্ভব। আর আপনি যদি মুখ খুলে এই শব্দ করার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনার মুখ থেকে কেবলই বাতাস বের হবে, কোনও শব্দ নয়। এখন সবথেকে বড় যে প্রশ্নটি এখান থেকে আসে তা হল, সামনে কোনও দাঁত না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন শব্দ বের করে সাপেরা? তার থেকেও বড় আশ্চর্যের বিষয়টি হল, সাপেরা কিন্তু জিভ বের করেই হিস-হিস শব্দ করে।
সামনে দাঁত না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে হিস-হিস শব্দ করে সাপেরা?
বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, সাপের শ্বাসযন্ত্রে গ্লটিস (Glottis) নামক একটি কাঠামো থাকে। সেই গ্লটিসের কারণেই সাপদের মুখ থেকে হিস-হিস শব্দ নির্গত হতে থাকে। প্রসঙ্গত, মানুষের গলাতেও থাকে গ্লটিস, যা মানবজাতিকে কথা বলতে সাহায্য করে। সাপের মুখের গ্লটিস হল ছোট্ট একটি খোলা অংশ, যা আপনি সচক্ষে দেখতেও পারেন। ইনহেলেশনের সময় এটি খোলে। সাপের মুখের গ্লটিসটি শ্বাসনালী বা উইন্ডপাইপ এবং ফুসফুসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। সাপের শরীরে একটাই মাত্র ফুসফুস কাজ করে এবং অন্যটি এখন ভেস্টিজিয়াল (কাজ করে না এমন অর্গ্যান) অর্গ্যানের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।
কোথা থেকে আসে সাপের হিস-হিস শব্দ?
মিসৌরি সাউদার্ন স্টেট ইউনিভার্সিটির জীববিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর ডেভিড পেনিং জানিয়েছেন, মানুষের মতো সাপেরও ফুসফুস রয়েছে, যা অক্সিজেন শোষণ করে। তবে, সাপের শরীরের দ্বিতীয় ফুসফুসটি কাজ করে না, সেটি এমনিই থাকে। প্রসঙ্গত, সাপদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে দ্বিতীয় ফুসফুসটিও কার্যকর থাকার প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সাপেরা হিস-হিস শব্দ করে কীভাবে, কোথা থেকে আসে তাদের এই শব্দ?
বেলুন ঠিক যেভাবে ফুলে ওঠে, সেভাবেই সাপদের মুখ থেকে হিস-হিস শব্দ বেরোয় বলে জানালেন ডক্টর পেনিং। তাঁর কথায়, সাপ যখন হিস-হিস শব্দ করে, তখন সে তার পাঁজর ছড়িয়ে দেয়। সাপ দীর্ঘ শ্বাস নেয় এবং তারপর দীর্ঘ সময় ধরেই সেই শ্বাস ছাড়তেও থাকে। ডক্টর পেনিং আরও যোগ করে বললেন, এই হিসিং শব্দ হল আসলে দীর্ঘ সময় ধরে গ্লটিস থেকে শ্বাস আটকে রাখার ফল।
কেনই বা হিস-হিস শব্দ করে সাপেরা?
পেনিং বললেন, একটি ছোট গর্তের মধ্য দিয়ে বায়ু প্রবাহিত হয়ে শব্দ উৎপন্ন হয়। তাঁর বক্তব্য, পাঁজর টিপে রেখেই সাপরা হিস-হিস শব্দ কম বা জোর করতে পারে। তবে এটা স্পষ্ট যে, হিস-হিস শব্দ করতে সাপের দাঁত বা জিভ লাগে না। তাই, শব্দ করার সময়ও তারা জিহ্বা বের করে নিতে পারে। পেনিং আরও যোগ করে বললেন, “সাপ শুধুমাত্র একটি উদ্দেশ্যেই শব্দ করে। সেটা হল, তার সুরক্ষা। কিন্তু বিভিন্ন প্রজাতির সাপের উপর নির্ভর করে এই শব্দ পরিবর্তিত হতে পারে।”