NASA Snake Robot: অন্য গ্রহে প্রাণের সন্ধান করবে সাপের মতো দেখতে এই রোবট, বানালেন এক ভারতীয়
Snake Like Robot: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইঞ্জিনিয়ার রোহনের তৈরি করা রোবটটির নাম EELS বা এক্সোবায়োলজি এক্সট্যান্ট লাইফ সারভেয়র। ক্যালিফর্নিয়ায় বসে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র কাছে তিনি বলেছেন, "EELS বুদ্ধিমান এবং নমনীয়। যে কোনও ভূখণ্ড কঠোর ভাবে অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখে এটি। যে কোনও ফাটলে যেমন ঢুকে পড়তে পারে, তেমনই আবার জলের নিচে সাঁতারও কাটতে পারে।"
মার্কিন মহাকাশ সংস্থা NASA একটি ফিউচারিস্টিক রোবট পরীক্ষা করছে। সেই রোবটটি অনেকটাই সাপের মতো দেখতে। এই রোবটের কাজ হবে অটোমেটিক্যালি চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহের অনাবিষ্কৃত অঞ্চলগুলি অন্বেষণ করা। রোবটের নকশাটি অনেকটাই ভারতীয় অজগরের আকৃতির। ভারতীয় বংশোদ্ভূত একজন ইঞ্জিনিয়ার এই সাপের মতো দেখতে রোবটটি ডিজ়াইন করেছেন। রোহন ঠাক্কার নামের ওই ইঞ্জিনিয়ার পড়াশোনা করেছেন নাগপুরে। NASA-র জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরিতে এই মুহূর্তে তিনি কর্মরত। ভারতীয় অজগরের মতো দেখতে এই রোবট তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত।
রোহনের তৈরি করা রোবটটির নাম EELS বা এক্সোবায়োলজি এক্সট্যান্ট লাইফ সারভেয়র। ক্যালিফর্নিয়ায় বসে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র কাছে তিনি বলেছেন, “EELS বুদ্ধিমান এবং নমনীয়। যে কোনও ভূখণ্ড কঠোর ভাবে অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখে এটি। যে কোনও ফাটলে যেমন ঢুকে পড়তে পারে, তেমনই আবার জলের নিচে সাঁতারও কাটতে পারে।” তাঁর আরও বক্তব্য, “অন্য গ্রহে মানুষের জীবনের সন্ধান করবে এই রোবটটি।”
রোবটটিকে একটি কৃত্রিম মঙ্গল ভূখণ্ড এবং হিমবাহে পরীক্ষা করা হয়েছে। পাশাপাশি দুর্যোগের সময়ও এটি অনুসন্ধান করা হয়েছিল। সেই সময়ই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে, এই রোবট উদ্ধার অভিযানের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে। নাগপুরের বিশ্বেশ্বরায়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ভিএনআইটি) থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক করেছেন রোহন। জানালেন, আইআইটিয়ান বব বালারাম তাঁকে ব্যাপক ভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল। এই বব বালারামই নাসার জন্য মার্টিয়ান হেলিকপ্টার তৈরি করে সারা বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন।
রোহন বললেন, “স্কুলে আমি খুব খারাপ ছাত্র ছিলাম। আইআইটিতে আমি সুযোগ পাইনি, ব্যর্থ হয়েছিলাম। শেষমেশ নাসায় এসে পৌঁছলাম।” সম্প্রতি চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযানের সফল অবতরণ সম্পর্কেও মন্তব্য করেছেন রোহন। তিনি বলেছেন, “চন্দ্রযান-3 যখন চাঁদের মাটিতে সফ্ট ল্যান্ডিং করল, তখন আমার কেমন একটা ক্রিকেট ম্যাচের মতো ফিল হয়েছিল। অন্যান্য ভারতীয়ের মতো আমিও খুবই গর্বিত হয়েছিলাম।”