AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

James Webb Telescope: পৃথিবীর মতো দেখতে সাতটি গ্রহ! সেখানে কি থাকতে পারে এলিয়েনরা?

James Webb Telescope: জানা গিয়েছে, আমাদের সৌরমণ্ডলের পর TRAPPIST-1 হল এমন একটি সিস্টেম যা নিয়ে বিশদে পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা চলছে।

James Webb Telescope: পৃথিবীর মতো দেখতে সাতটি গ্রহ! সেখানে কি থাকতে পারে এলিয়েনরা?
পৃথিবীর মতোই আকার-আয়তনের সাতটি গ্রহ। Photo Credit: NASA
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2022 | 5:36 PM
Share

প্রায় পাঁচমাস আগে মহাকাশে অভিযান (Operations in Space) শুরু করেছিল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ (James Webb Telescope)। তখন থেকেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা (Astronomers)। উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন নতুন বিস্ময়কর একই সঙ্গে রহস্যজনক আবিষ্কারের কথা শোনার জন্য। শেষ পর্যন্ত সেই মাহেন্দ্রক্ষণ অবশেষে এসে উপস্থিত হয়েছে। নতুন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ তার চোখ দিয়ে মহাকাশকে নতুন রূপে দেখেছে। এই মহাবিশ্বে আমরা অর্থাৎ পৃথিবীই কি একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণ রয়েছে? এই প্রশ্ন দীর্ঘকাল ধরে মানুষের মনে ঘুরছে। এই বিষয়েই ছানবিন করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ।

মহাকাশে একটি অভিনব প্ল্যানেটারি সিস্টেম রয়েছে, যার কথা পাঁচ বছর আগেই জানিয়েছিল নাসা। ২০১৭ সালে নাসা জানায় ওই ইউনিক প্ল্যানেটরি সিস্টেমের নাম TRAPPIST-1 system। গবেষণা করার জন্য মহাকাশের এই এলাকার কদর গত কয়েক বছর ক্রমশই এবড়েছে। আর জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মহাবিশ্বকে ইনফ্রারেডের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবে। একটি লাল বামন আকৃতির নক্ষত্রকে বলা TRAPPIST-1 system। আসলে এখানে রয়েছে পৃথিবীর আকার-আয়তনের সাতটি গ্রহ যাকে বলে আর্থ সাইজড প্ল্যানেট। এদের পরিবারই থাকে ওই TRAPPIST-1 system- এর মধ্যে।

পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে কিনা তা জানার আগ্রহের পাশাপাশি ‘এলিয়েন লাইফ’ নিয়েও আমজনতার মনে কৌতূহলের কোনও কমতি নেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন, জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এই TRAPPIST-1 সিস্টেম পর্যবেক্ষণ করে হয়তো এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে। এই TRAPPIST-1 সিস্টেমে রয়েছে সাতটি রুক্ষ পাথুরে গ্রহ। একটি অস্পষ্ট নক্ষত্রকে প্রদক্ষিণ করে তারা। সবচেয়ে রহস্যজনক বিষয় হল এই গ্রহগুলি একদম পৃথিবীর মতোই আকার, আয়তনের। মাটিতে অর্থাৎ পৃথিবীতে এবং মহাকাশে টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এই TRAPPIST-1 সিস্টেম আবিষ্কার করা হয়েছিল।

জানা গিয়েছে, আমাদের সৌরমণ্ডলের পর TRAPPIST-1 হল এমন একটি সিস্টেম যা নিয়ে বিশদে পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা চলছে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৪০ আলোকবর্ষ। যে বামন নক্ষত্রকে (অস্পষ্ট) এই সাতটি গ্রহ প্রদক্ষিণ করছে সেগুলিও রয়েছে ওই সিস্টেমের মধ্যেই। এর মধ্যে তিনটি গ্রহ যেগুলি সুস্পষ্ট ভাবে অবস্থিত, সেগুলি বাসযোগ্য স্থানে রয়েছে। আর মূল নক্ষত্রের কাছে যারা রয়েছে সেইসব গ্রহে বেশিরভাগটাই তরল জল পাওয়া যায়।

পৃথিবী থেকে ২৩৫ ট্রিলিয়ন মাইল দূরে থাকা এই সাতটি নক্ষত্রের পৃষ্ঠদেশে কিন্তু জল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। একটি সমীক্ষায় এও বলা হয়েছে যে হয়তো এই সাতটি গ্রহের মধ্যে কয়েকটিতে পৃথিবীর সাগর-মহাসাগরের থেকেও বেশি জল সঞ্চিত রয়েছে। মূল নক্ষত্রের কাছাকাছি থাকা গ্রহে অ্যাটমোস্ফেরিক ওয়াটার ভেপার বা বায়ুমণ্ডলীয় জলীয় বাষ্প হিসেবে জল থাকতে পারে। অন্যান্য গ্রহগুলিতে তরল জল দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যারা অনেক দূরে রয়েছে সেখানে দেখে যেতে পারে বরফ। ২০২১ সালে একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল যে TRAPPIST-1 সিস্টেমে থাকা গ্রহগুলি পৃথিবীর মতো একই উপাদান দিয়ে তৈরি। কিন্তু তাও এরা পৃথিবীর থেকে আলাদা।

আরও পড়ুন- Triple Galaxy Merger: অবিশ্বাস্য! মহাকাশে সংযুক্ত হয়েছে তিনটি ছায়াপথ, বিস্ময়কর ছবি প্রকাশ্যে