Mars Helicopter: নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity- র ১৪তম উড়ানে দেরি, কিন্তু কেন?
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া ক্রমশ পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানোর জন্য Ingenuity হেলিকপ্টারের কিছুটা সময় প্রয়োজন।
১৪তম উড়ানের আগে কয়েকদিন বিশ্রাম নিয়েছে মঙ্গলগ্রহে নাসার পাঠানো হেলিকপ্টার Ingenuity। জানা গিয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর একটি সংক্ষিপ্ত ঘূর্ণায়মান অনুশীলন হওয়ার কথা ছিল রোটরক্রাফটের। এটি একটি অপ্রতিরোধ্য উড়ান হওয়ার কথা ছিল। কারণ নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে সেটি উড়বে না।
কিন্তু হঠাৎ করে কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মার্স হেলিকপ্টার?
জানা গিয়েছে, বেশ কিছু অনিয়ম দেখা গিয়েছিল এই হেলিকপ্টারে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, Ingenuity হেলিকপ্টারের two flight-control servo motors- এর মধ্যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। ১৪তম উড়ানের আগে একবার প্রি-ফ্লাইট চেকিং চলছিল এই হেলিকপ্টারের। সেই রুটি প্রি-ফ্লাইটের সময়েই গন্ডগোল নজরে আসে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity- র ১৪তম উড়ান পিছিয়ে যাওয়ায় একদিকে ভালই হয়েছে।
অন্যদিকে আবার জানা গিয়েছে, অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ের আগে আর উড়বে না নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity। তবে এতটা দেরি হওয়ার পিছনে রয়েছে একটি অন্য কারণ। মূলত মার্স সোলার কনজাংশনের কারণে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে পর উড়োবে এই হেলিকপ্টার। এই পরিস্থিতিতে পৃথিবী এবং মঙ্গলগ্রহের মাঝে অবস্থান করবে সূর্য। এর ফলে মঙ্গলগ্রহে থাকা নাসার যন্ত্রাংশ এবং পৃথিবীর মধ্যে সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে না। মঙ্গলগ্রহের ভিতরের পাশাপাশি বাইরে থাকা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রাংশের সঙ্গেও সঠিক ভাবে যোগাযোগ রাখা যাবে না। তাই ২ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহে থাকা যন্ত্রাংশেদের নাসার তরফে কোনও বার্তা পাঠানো হবে না।
মার্স সোলার কনজাংশন এবং রোটরক্রাফটে গোলযোগ, এই দুইয়ের কারণেই পিছিয়ে গিয়েছে মার্স হেলিকপ্টারের উড়ান। এর আগে প্রথম উড়ানের আগেও একবার পিছিয়ে গিয়েছিল হেলিকপ্টার Ingenuity- র উড়ান। ১১ এপ্রিল প্রথমে ওড়ার কথা ছিল হেলিকপ্টারের। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যাওয়ায় সেই সময় পিছিয়ে যায় উড়ান। ১৯ এপ্রিল প্রথম উড়েছিল মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া ক্রমশ পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানোর জন্য Ingenuity হেলিকপ্টারের কিছুটা সময় প্রয়োজন। তবে দেখা গিয়েছে, আবহাওয়া এবং বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব কিছুটা কমলেও সঠিক এবং সফল ভাবেই একটি হাই-স্পিড স্পিন টেস্ট সম্পন্ন করেছে রোটরক্রাফট। তাই বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন যে মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া ও বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন হলেও, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবে নার্স হেলিকপ্টার এবং রোটরক্রাফট।