AI For Farmed Chickens: খামারের মুরগির দুর্দশা ঘোচাতে এল বিশেষ কৃত্রিম মেধা, কোনটা দুঃখের ডাক, স্পষ্ট করবে এক লহমায়

Distress Calls Of Chicken: এই AI প্রযুক্তিটি 97 শতাংশ নির্ভুলতার সঙ্গে বিশাল গৃহমধ্যস্থ শেডে রাখা মুরগিদের দুর্দশা এবং বিপজ্জনক অবস্থার সময়ে কল ডিটেক্ট করবে।

AI For Farmed Chickens: খামারের মুরগির দুর্দশা ঘোচাতে এল বিশেষ কৃত্রিম মেধা, কোনটা দুঃখের ডাক, স্পষ্ট করবে এক লহমায়
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2022 | 7:14 PM

মানুষের জীবন আগের থেকে অনেক সহজ করেছে কৃত্রিম মেধা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence)। ডেটা হোক বা ওষুধ, সমস্ত দিকেই কৃত্রিম মেধা যেন নব দিগন্তের উন্মোচন করেছে। এখন একটি নতুন রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, শুধু মানুষ নয়, ফার্মের মুরগিদের (Farmed Chickens) জীবন উন্নত করতেও ব্যাপক ভাবে কার্যকর হতে পারে। সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের তরফে এই রিপোর্টটি সর্বপ্রথম প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, এই এআই প্রযুক্তিটি 97 শতাংশ নির্ভুলতার সঙ্গে বিশাল গৃহমধ্যস্থ শেডে রাখা মুরগিদের দুর্দশা এবং বিপজ্জনক অবস্থার সময়ে কল (Distress Calls) ডিটেক্ট করবে। অর্থাৎ মুরগিটি শারীরিক দিক থেকে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে বা অন্য কোনও কারণবশত তার সামনে কোনও বিপদ হাজির হলে তা ডিটেক্ট করতে পারবে এই কৃত্রিম মেধা-ভিত্তিক প্রযুক্তি।

অভিনব প্রযুক্তিটি কৃষকদের চাপের মাত্রা বোঝাতে এবং সেই সঙ্গে যেখানে প্রয়োজন সেখানে তাঁদের আবাসন পরিস্থিতি আরও ভাল করতে দেয়, যাতে সেখানে মুরগিদের জীবন আরও সুরক্ষিত হতে পারে। তবে এটি ম্যানুয়াল পরিদর্শনের মাধ্যমেও করা যেতে পারে। মানুষের কান যা ধরতে পারে না, এই প্রযুক্তি দশ হাজারেরও বেশি মুরগি যে খামারে রয়েছে, সেই সুবিশাল বাণিজ্যিক খামারের জন্যও অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।

গবেষকরা দাবি করছেন, মানুষের উপস্থিতি মুরগিদের উপরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাই, যে সব খামারে বিরাট সংখ্যক মুরগি থাকে, সেখানে তাদের এক একজনের কী সমস্যা হচ্ছে, তা বোঝার কাজটা কঠিন হয়ে ওঠে। সেখানেই জিয়নকাঠির ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে এই কৃত্রিম মেধা-ভিত্তিক প্রযুক্তিটি।

অভিনব পদ্ধতিটি হল একটি গভীর শিক্ষার হাতিয়ার যা খামারের মুরগির রেকর্ডিং থেকে তাদের ডিসট্রেস কল সনাক্ত করে। টুলটিকে রেকর্ডিং হিসেবে ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল যা ইতিমধ্যেই মানব বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তাঁদের প্রতিনিধি নির্ধারণের জন্য ম্যানুয়ালি শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছিল।

হংকংয়ের অ্যানিমেল বিহেভিয়ার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার দফতরের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর অ্যালান ম্যাকইলিগট এ বিষয়ে বলছেন, “এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কেবল মাত্র মুরগির ডিসট্রেস কল গণনা করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং, আমাদের উদ্দেশ্য হল মুরগিদের জন্য এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা, যেখানে তারা নিজেদের দুর্দশার পরিমাণ কমিয়ে ভাল ভাবে জীবনযাপন করতে পারবে।”

তিনি আরও যোগ করে বলছেন, “কখনও কখনও কৃষকদের বোঝানো কঠিন হয়ে যায় যে, সুপারমার্কেটের জন্য একটি নির্দিষ্ট মূল্যে এই প্রাণীগুলি উৎপাদন করতে হবে এবং তাদের জীবন উন্নত করতে প্রযুক্তিরও সাহায্য নিতে হবে। কিন্তু আমরা ইতিমধ্যেই দেখিয়েছি যে, ডিসট্রেস কলগুলি মুরগির মৃত্যুহার কমানোর এবং তাদের বৃদ্ধির হারের একটি ভাল সূচক। এছাড়াও, এটি প্রক্রিয়াটিকে স্বয়ংক্রিয় করারও একটি মহৎ উপায়।”