Life On Mars: প্রাণ ছিল মঙ্গলে, জলবায়ু পরিবর্তন না হলে মানুষের বসবাসযোগ্য দ্বিতীয় গ্রহ হত: গবেষণা
Life On Mars And Climate Change: মঙ্গলে মানুষ বাস করতে এক সময়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লালগ্রহ আর মানুষের বসবাসযোগ্য নয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনই দাবি করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
Climate Change: মঙ্গলে মানুষ বাস করতে এক সময়। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লালগ্রহ আর মানুষের বসবাসযোগ্য নয়। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমনই দাবি করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। নতুন তত্ত্বটি নেচার জার্নালে প্রকাশিত একটি জলবায়ু মডেলিং সংক্রান্ত অধ্যয়নকে অনুসরণ করে, যা কয়েকশো কোটি বছর আগে মঙ্গলে বসবাসকারী জীবাণুগুলির অধ্যয়ন করেছিল। আর সেই সময় লাল গ্রহে আমাদের পৃথিবীর মতোই জীবন বেঁচে থাকার অনুকূল বায়ুমণ্ডল ছিল।
এটা বিশ্বাস করা হয় যে, মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পরিবর্তনের কারণে সেখানে অণুজীবনের জীবন শেষ হয় সর্বপ্রথম। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব এবং মঙ্গলে তা শেষ হওয়ার মূল কারণ হল, দুটি গ্রহের গ্যাস গঠন এবং সূর্য থেকে তাদের দূরত্বের পার্থক্য।
যেহেতু মঙ্গল গ্রহ সূর্য থেকে অনেক দূরে, সেখানে যে প্রাণের সন্ধান মিলেছে তা বায়ুমণ্ডলে উপস্থিত গ্রিনহাউস গ্যাসের উপর বেশি নির্ভরশীল ছিল যা তাপমাত্রাকে বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু জীবাণুরা নিজেরাই তাদের গ্রহকে ধ্বংস করেছে। ডেইলি স্টারের খবর অনুযায়ী, মঙ্গল গ্রহের প্রাচীন অণুজীব হাইড্রোজেন গ্রহণ করত এবং মিথেন উৎপন্ন করত। ধীরে ধীরে তারা তাদের গ্রহের সিস্টেম খেয়ে ফেলে যা তাপ ধরে রাখত।
অণুজীব তাপমাত্রা -57 ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে
পরবর্তীতে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মঙ্গল এতটাই শীতল হয়ে যায় যে, গ্রহটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। যখন মঙ্গলে প্রাণের বিকাশ ঘটছিল, তখন তার গড় তাপমাত্রা 10 থেকে 20 ডিগ্রি সেলসিয়াস হত। কিন্তু অণুজীবের সংখ্যা বাড়ার ফলে তাপমাত্রা মাইনাস 57 ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। যে কারণে গ্রহের গভীরতায় উপস্থিত উষ্ণ স্তরে পালিয়ে যায় তারা। জ্যোতির্পদার্থবিদ এবং এই গবেষণার প্রধান লেখক বরিস সউত্রের কথায়, মহাবিশ্বের সর্বত্র প্রাণের উপাদান বিদ্যমান।
জীবন মহাবিশ্বে আবির্ভূত হয়, তারপর অদৃশ্য হয়ে যায়
জ্যোতির্পদার্থবিদ সউত্রে আরও বলেছিলেন, এটি সম্ভব যে মহাবিশ্বে নিয়মিতভাবে প্রাণের উপস্থিতি অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু গ্রহের পৃষ্ঠে বাসযোগ্য পরিস্থিতিতে প্রাণের অক্ষমতা এটিকে দ্রুত বিলুপ্ত করে। আমাদের পরীক্ষা এটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন মঙ্গল গ্রহে অনুসন্ধান মিশন পরিচালনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট এবং রোভার পাঠানোর মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বেসরকারি সংস্থা স্পেসএক্সও মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর স্বপ্ন দেখছে, যার মালিক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক।