Perseverance Rover: মার্স রোভার পারসিভের্যান্সের রোবোটিক আর্মে আটকে নুড়ি-পাথর, নমুনা সংগ্রহে সমস্যা
প্রাথমিক পর্যায়ে অবশ্য সব ঠিকই ছিল। লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছিল সাবলীল ভাবেই। পারসিভের্যান্স রোভার সফলভাবে মার্সিয়ান রক বা মঙ্গলগ্রহের পাথর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল।
মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধানে মার্স রোভার পাঠিয়েছে নাসা। মার্কিন স্পেস এজেন্সির পাঠানো এই মার্স রোভারের পোশাকি নাম পারসিভের্যান্স। এর সাহায্যেই লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশ থেকে পাথুরে নমুনা (রক স্যাম্পেল) সংগ্রহ করে তা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। ভবিষ্যতে যাতে মঙ্গলগ্রহে মানুষ অর্থাৎ নভশ্চররা গিয়ে সফলভাবে অভিযান চালাতে পারেন, সেজন্য লালগ্রহের নমুনা পর্যবেক্ষণ করে ভালভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তবে পারিসিভের্যান্স মার্স রোভারের যে মেশিনের সাহায্যে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ থেকে রক স্যাম্পল সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেখানে কিছু নুড়ি আকারের ধ্বংসাবশেষ সমস্যা তৈরি করছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিক পর্যায়ে অবশ্য সব ঠিকই ছিল। লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশ থেকে নমুনা সংগ্রহের কাজ চলছিল সাবলীল ভাবেই। পারসিভের্যান্স রোভার সফলভাবে মার্সিয়ান রক বা মঙ্গলগ্রহের পাথর থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিল। যে পাথর থেকে নমুনা বের করা হয়েছিল তার নাম Issole। তবে এই পাথুরে নমুনা সংগ্রহ করার পর সেই স্যাম্পেল স্টোরেজ অংশে স্থানান্তরের সময় রোভারের সেনসর কিছু সমস্যা জানান দিয়েছিল। এই ঘটনা ঘটেছিল গত ২৯ ডিসেম্বর। রোভারের সেনসরে অসামঞ্জস্য দেখা দেওয়ার সঙ্গেই সঙ্গেই মেশিন কোরিং করা বন্ধ করে দেয়। এর পাশাপাশি পৃথিবীতে এই মেশিনের মনিটরিং সিস্টেমকে গোটা ব্যাপারটা জানায় এবং পরবর্তী নির্দেশ জানতে চায়।
প্রাথমিক অসামঞ্জস্য সংক্রান্ত তথ্যের পরেও আরও কিছু ডেটা চেয়ে পাঠায় পারসিভের্যান্স টিম। তারা জানায় রোভারের পাথুরে নমুনা সংগ্রহ করার মেশিনের সংগ্রহশালায় বা স্টোরেজে কী সমস্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য আরও বিশদে তথ্য প্রয়োজন। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ গবেষণার পর বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন যে, নুড়ি আকারের একটি পাথুরে ধ্বংসাবশেষ আসলে ওই মেশিনের রোবোটিক আর্মের মধ্যে আটকে গিয়েছিল। আর তার ফলেই সাবলীল কাজকর্মে বাধা দেখা দিয়েছিল। বিজ্ঞানীদের অনুমান, মঙ্গলগ্রহ থেকে রক স্যাম্পেল সংগ্রহ করার সময়েই এই নুড়ি আকারের ডেব্রিস স্টোরেজ অংশ থেকে রোবোটিক আর্মে পৌঁছে গিয়েছিল।
পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনও গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না তা খোঁজার জন্য প্রথম সেই গ্রহে জলের সন্ধান করেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলগ্রহের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজে প্রথমে জলের সন্ধান করেছেন বিজ্ঞানীরা। এর পাশাপাশি রক স্যাম্পেলও সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশের গাঠনিক পদ্ধতি এবং উপকরণ সম্পর্কে বিশদে জানার জন্যই এই পাথুরে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লালগ্রহের বুক থেকে একজোড়া অর্থাৎ দুটো পাথুরে নমুনা বা রক স্যাম্পেল সংগ্রহ করেছে রোভার পারসিভের্যান্স। আর তা পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরুর পর এর মধ্যেই মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে বেশ কিছু নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই রক স্যাম্পেল অনেকদিন ধরে জলের সংস্পর্শে ছিল।
আরও পড়ুন- Asteroid: আকারে ভয়ঙ্কর বড় এই গ্রহাণু ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে, এই সম্বন্ধে কী জানাল নাসা?