Pragyan Rover: চাঁদের গায়ে কোনও ভারতীয় প্রতীকের স্পষ্ট ছাপ ফেলতে পারেনি কেন প্রজ্ঞান? উত্তর দিলেন ISRO প্রধান
Chandrayaan-3 যদি সত্যিই চাঁদের মাটিতে দাগ কাটতে পারত, তাহলে ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং ISRO-র লোগোটিও চন্দ্রপৃষ্ঠে ছাপ ফেলত। তা কিন্তু হয়নি। ISRO প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন, চাঁদের পৃষ্ঠটি আঠালো এবং সেখানে গলদ থাকার ফলে স্বচ্ছ কোনও ছবি ওঠেনি। তবুও, তিনি নিশ্চিত করেছেন বড় আকারে ছবি খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে এবং সেখান থেকেই ছাপগুলি বোঝা যাবে।

Chandrayaan 3 Latest News: ঘুমের দেশে যাওয়ার আগে চন্দ্রযান-3 বড় কাজ করে গিয়েছে। যে কাজে তাকে চাঁদের মাটিতে নামানো হয়েছিল, 10 দিনের চন্দ্র অন্বেষণের সময় পরিকল্পিত সমস্ত কাজ সে সম্পন্ন করেছে। তবে চাঁদের মাটিতে পরিষ্কার ভাবে ছাপ ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে চন্দ্রযানটি। ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা বা ISRO-র লোগোর একটি ছবি প্রজ্ঞান রোভারের পিছনের চাকায় বসানো ছিল। এখন চন্দ্রযান-3 যদি সত্যিই চাঁদের মাটিতে দাগ কাটতে পারত, তাহলে ভারতের জাতীয় প্রতীক এবং ISRO-র লোগোটিও চন্দ্রপৃষ্ঠে ছাপ ফেলত। তা কিন্তু হয়নি। ISRO প্রধান এস সোমনাথ বলেছেন, চাঁদের পৃষ্ঠটি আঠালো এবং সেখানে গলদ থাকার ফলে স্বচ্ছ কোনও ছবি ওঠেনি। তবুও, তিনি নিশ্চিত করেছেন বড় আকারে ছবি খুব শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে এবং সেখান থেকেই ছাপগুলি বোঝা যাবে।
এদিকে ISRO আবার এই লুনার নাইট বা চন্দ্ররাতের পরে মিশনটিকে সক্রিয় করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সেখানে তাপমাত্রা 200 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত ISRO বিক্রম ল্যান্ডার থেকে কোনও সঙ্কেত পায়নি। তাই, চন্দ্রদিন স্থায়ী হওয়া পর্যন্ত তারা রোভার এবং ল্যান্ডারকে জাগানোর সমস্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
চাঁদের গায়ে পরিষ্কার দাগ ফেলতে কেন ব্যর্থ হল প্রজ্ঞান
সংবাদমাধ্যম NDTVকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ISRO প্রধান সোমনাথ ব্যাখ্যা করেছেন, প্রজ্ঞান রোভারের চিহ্নগুলি নির্দিষ্ট চন্দ্র ভূখণ্ডের জন্য ডিজ়াইন করা হয়েছিল। তবে পৃথিবীতে তা পরীক্ষা করার সময় ছাপ ফেলেছিল। তিনি যোগ করেছেন, রোভারটি যখন চন্দ্র সাইটে পৌঁছেছিল, তখন ভূখণ্ডটি আলাদা ছিল। তিনি বলেছেন, “বিক্রম ল্যান্ডারের অবতরণ প্রক্রিয়া চলাকালীন আশ্চর্যজনকভাবে সামান্য ধূলিকণার সৃষ্টি হয়েছিল, যা নির্দেশ করে চন্দ্রপৃষ্ঠটি মোটেই আলগা ধূলিকণার মতো আচরণ করছে না, বরং সেটি আঠালো, গলিত পদার্থের মতোই আচরণ করছে।”
এই আঠালো ভাবই আসলে চন্দ্রপৃষ্ঠের উপরে প্রজ্ঞান রোভারের ছাপের গুণমানকে প্রভাবিত করতে পারে বলে জানিয়েছেন এস সোমনাথ। তার কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করছেন, সোজা এবং সমতল ভূখণ্ডে এই ছাপ আরও ভাল ভাবে গঠিত হতে পারে। তিনি আরও জানাচ্ছেন, অসম পৃষ্ঠে কখনই ভাল ভাবে ছবি ক্যাপচার করা যায় না।
সোমানাথ উল্লেখ করেছেন, যদিও ছবিগুলি খুব তীক্ষ্ণ নাও হতে পারে। তবে সেগুলি এখনও বর্তমান এবং ভবিষ্যতে সেগুলিকে উন্নত এবং মহাকাশপ্রেমীদের সঙ্গে শেয়ার করারও চেষ্টা করা হবে।
