ডায়াবেটিস

ডায়াবেটিস

বিশ্বজুড়ে ক্রমশই বাড়ছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে এই রোগের প্রকোপ সবথেকে বেশি। এখানে প্রতি পাড়ার প্রায় প্রতি বাড়িতেই মিলবে একজন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের খোঁজ। ২০২১ সালের একটি গবেষণা বলছে, ভারতে এই মুহূর্তে ১০ কোটিরও বেশি মানুষ ভুগছেন ডায়াবেটিসে। ডায়াবেটিস কখনওই সম্পূর্ণ সারিয়ে তোলা যায় না। একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র। শুধু তাই-ই নয়, ঠিক কী-কী কারণে ডায়াবেটিস হয়, তা-ও স্পষ্ট করে জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। অগ্ন্যাশয় থেকে ক্ষরিত হয় ইনসুলিন হরমোন। এই হরমোন যদি খুব কম ক্ষরিত হয় বা একেবারেই না হয়, তখন রক্তে চড়চড়িয়ে বাড়তে থাকে শর্করা বা গ্লুকোজ়ের মাত্রা। ডায়াবেটিস মূলত দু’প্রকার: টাইপ ১ এবং টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস বংশগত। পারিবারিক ইতিহাসে সুগার থাকলে সেখান থেকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এই সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখাও বেশ কঠিন। যদিও এখন অধিকাংশই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এক জায়গায় বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করা, অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খাওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা এর প্রধান কারণ। ৮-৮০ এখন আক্রান্ত হচ্ছে এই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে। অনেকসময় গর্ভধারণের আগে ডায়াবেটিস না থাকলেও গর্ভধারণের পর মায়েরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। এই সমস্যাকে বলা হয় ‘জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস’। গর্ভাবস্থায় রক্তে শর্করার পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায় যে, প্রত্যহ ইনসুলিন নিতে হয়। তবে সন্তানের জন্মের পর তা ধীরে-ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যেতে থাকে। এক্ষেত্রে গর্ভস্থ সন্তানের উপর বিরূপ প্রভাবের সম্ভাবনা থেকে যায়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে এই ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সম্ভাবনা থাকে সবথেকে বেশি। চিকিৎসক এবং ডায়াবেটোলজিস্টদের অনুমান, ভারতে টাইপ ১ ডায়াবেটিস আগামিদিনে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে ভায়াবহ আকার নেবে।

Read More

Health News: দিবারাত্র বাজার থেকে কিনে খাচ্ছেন জিভে জল আনা খাবার? বড় বিপদ ডেকে আনছেন অজান্তে!

India's Diabetes Epidemic: ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ ফ্যাক্টরিজাত এই সমস্ত খাবার। খেতে সুস্বাদু, সহজেই পাওয়া যায় বলে অনেকের ব্যস্ত জীবনে হয়তো একটু সময় বাঁচে। কিন্তু স্বাস্থ্যের বড় ক্ষতি হয়।