Dakshin Dinajpur News: গোড়ায় ওষুধ?

Dakshin Dinajpur News: গোড়ায় ওষুধ?

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Sep 08, 2023 | 5:18 PM

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিনদিকে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। যার ফলে সীমান্ত এলাকায় বাড়তে শুরু করেছে নেশার সামগ্রীর কারবার। পাশাপাশি বাড়ছে নেশার প্রবণতা। এমতাবস্থায় সীমান্তে নেশার প্রবণতা কমাতে উদ্যোগী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তিনদিকে রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত। যার ফলে সীমান্ত এলাকায় বাড়তে শুরু করেছে নেশার সামগ্রীর কারবার। পাশাপাশি বাড়ছে নেশার প্রবণতা। এমতাবস্থায় সীমান্তে নেশার প্রবণতা কমাতে উদ্যোগী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। মাদক ও নেশামুক্ত করতে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। এনিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনে জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা ও পুলিশ সুপার রাহুল দে’র উপস্থিতিতে বিশেষ বৈঠক হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিস, বিএসএফ ও স্বাস্থ্য, জিএসটি ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করে। আগামীতে সব দপ্তর একত্রে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করবে৷ নেশার বিরুদ্ধে প্রচার, অভিযান সহ নানা কাজ করবে এই দপ্তরগুলি। এছাড়াও সীমান্তে নেশার কারবার বন্ধ করতে উদ্যোগী প্রশাসন। ওই বৈঠকে নেশামুক্তি কেন্দ্র নিয়েও আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় মাদকের প্রবণতা রয়েছে। তাই সীমান্ত এলাকা থেকে জেলার সর্বত্রই মাদকের বিরুদ্ধে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। এনিয়ে জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। খুব দ্রুত এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলেই জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন। এছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে গড়ে উঠছে লাইসেন্সবিহীন নেশামুক্তি কেন্দ্র। চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে সেই কেন্দ্রগুলিতে। বছরখানেক আগে এক রোগীর মৃত্যুও ঘটেছিল। তাই এবারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাপ্রশাসন। জেলাপ্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাছে সরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হবে। পাশাপাশি জেলার বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিকে প্রশাসনের আওতায় এনে নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সমগ্র জেলাজুড়েই মাদক ও নেশা নিয়ে প্রচার অভিযান চালানো হবে বলে প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জেলায় সরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্র নেই। তাই সরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্র স্থাপনের জন্য আমরা রাজ্যের কাছে প্রস্তাব দিয়েছি। পাশাপাশি জেলায় যে সমস্ত বেসরকারি নেশামুক্তি কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলিকে প্রশাসনের আওতায় এনে নজরদারি চালানো হবে। পাশাপাশি জেলাকে মাদকমুক্ত করতে জেলার বিভিন্ন দপ্তর ও বিএসএফের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সীমান্ত এলাকা ও জেলার সর্বত্র মাদক বিরোধী প্রচার চালানো হবে।