Alipurduar: গরমের ছুটির হোম ওয়ার্কে অভিনব টাস্ক! পড়ুয়াদের কুর্নিশ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের, জানেন কী করেছে খুদেরা?
Alipurduar: সম্প্রতি দেড় মাস ধরে চলা গরমের ছুটিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে গ্রীষ্মকালীন ফলের চারা তৈরির একপ্রকার 'হোম ওয়ার্ক' দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়াদের। সেই মোতাবেক কেউ আম, কেউ কলা, তো আবার কেউ কাঁঠাল-সহ অন্যান্য ফলের চারা তৈরি করেছে।
আলিপুরদুয়ার: গরমের ছুটির ‘হোম ওয়ার্ক’। নিজেদের উদ্যোগে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা-সহ অন্যান্য গাছের চারা বানিয়ে বনদফতরের হাতে তুলে দিলেন আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের এক বেসরকারি ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়ারা। অভিনব টাস্ক। জঙ্গলে যাতে খাবারের অভাব না হয়, হাতি, বানরের মতো বন্যপ্রাণী যাতে খাবারের লোভে লোকালয়ে না আসে, সেই উদ্দেশ্যেই স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই ফলের চারা গাছ রোপণের ভাবনা পড়ুয়াদের। বনদফতরের কর্মীদের উপস্থিতিতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে বেশ কিছু চারা গাছ নিজেরাই রোপণ করেন পড়ুয়ারা।
সম্প্রতি দেড় মাস ধরে চলা গরমের ছুটিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে গ্রীষ্মকালীন ফলের চারা তৈরির একপ্রকার ‘হোম ওয়ার্ক’ দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন ক্লাসের পড়ুয়াদের। সেই মোতাবেক কেউ আম, কেউ কলা, তো আবার কেউ কাঁঠাল-সহ অন্যান্য ফলের চারা তৈরি করেছে।
ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে খাবারের লোভে লোকালয়ে চলে আসে হাতি, বানরের মতো বন্যপ্রাণী। লোকালয়ে তাদের আনাগোনা রুখতে পড়ুয়াদের তৈরি চারা গাছ জঙ্গলে রোপণের ভাবনা স্কুল কর্তৃপক্ষের। এই বিষয়ে স্কুলের চেয়ারম্যান রণজিৎ ঝা বলেন, “পরিবেশ এবং বন্যপ্রাণীর সহ বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়াদের অবগত করতে স্কুলের বেশ কিছু পড়ুয়াদের নিয়ে ইকো ক্লাব তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকেই নানান উদ্যোগ নিয়ে চলেছি আমরা।”
পড়ুয়াদের ও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে এহেন উদ্যোগের আগে কখনও ব্লকে নেওয়া হয়নি বলে দাবি করেন যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যরা। এ বিষয়ে উত্তর লতবাড়ি যৌথ বন সুরক্ষা কমিটির সদস্য রবি মুর্মু বলেন, “পড়ুয়া ও স্কুল কর্তৃপক্ষের এরূপ উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয়। আগামীতে যাতে বাকিরাও এরূপ উদ্যোগ নেয় এটাই চাইব।”