আলিপুরদুয়ার: অনেক আশা নিয়ে সাত সমুদ্র তেরো নদী পেরিয়ে পড়তে গিয়েছিলেন ওরা। আশা ছিল বড় চিকিৎসক হবেন। কিন্তু কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল! যুদ্ধ বাধল দেশে। আর সমস্ত কিছু এক নিমেশে শেষ হয়ে গেল। কথা হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া নিয়ে। সেখানে ডাক্তারি পড়তে এদেশ থেকে হাজার-হাজার পড়ুয়া গিয়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধের কারণে এখন তারা প্রাণ বাঁচিয়ে এদেশে ফিরতে পারলেই বাঁচেন।
দিব্যম কৌশিক। মেডিক্যালের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ২০২১ সে দেশে গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে। দিব্যম সেখানে বুকোভিনিয়ান স্টেট মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। আরও চার বছর পড়া বাকি ছিল সেখানে। তবে যুদ্ধের কারণে প্রাণ হাতে নিয়েই অবশেষে ফিরলেন তিনি। কিন্তু কেরিয়ার নিয়ে চিন্তা যাচ্ছে না তাঁর। অর্ধ সমাপ্ত পড়াশোনা। কী হবে এবার?
দিব্যেমের বাবা সুরেশ শর্মা বলেন, “ছেলে বাড়ি ফিরে আসায় আমরা খুশি। সরকার যা সাহায্য করেছে তা তুলনা হয় না। তবে ওর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।” অন্যদিকে, মা মীনাক্ষীও ভারতীয় বায়ুসেনাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। দিব্যেম বলেন, “প্রথমে শুনেছিলাম যুদ্ধ হবে। কিন্তু তখনও বুঝিনি। এরপর যুদ্ধ বাধল। আমরা তখনও অনলাইন ক্লাস কররেছি। পরে ধীরে-ধীরে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠল। সবসময় শুধু বোমা-গুলির শব্দ শোনা গেছে। এরপর ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে আমাদের উদ্ধারের জন্য আসে। ওরা জানিয়ে দেয় কীকী করতে হবে। আমরা সেই মতো এগিয়েছি। ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিক খুবই সাহায্য করেছে। খাওয়া-দাওয়ার কোনও অসুবিধা হয়নি। আমরা রোমানিয়া সীমান্ত দিয়ে ফিরেছি। প্রায় ২০৯ জন ফিরেছি একসঙ্গে। ৫টি তালিকা হয়েছিল। তাতে চতুর্থ তালিকায় আমার জায়গা হয়েছিল। রাত ১ টায় বর্ডার পার হয়েছি। আমি ইউক্রেন এর পিএমকে সাপোর্ট করি। তাই পুনরায় ফিরে যেতে চাই ইউক্রেনে। আবার ফিরবেন।”
আরও পড়ুন: Bear cubs Recover: খাঁচার মধ্যে অনবরত ডাকছে ভাল্লুকের বাচ্চা, পরে কাছে যেতেই জানা গেল আসল ঘটনা
আরও পড়ুন: Saokat Molla: ‘দেশ স্তব্ধ করে দেব’ বারাণসীতে মমতাকে কালো পতাকা দেখানোয় বিজেপিকে হুমকি শওকতের!