আলিপুরদুয়ার: এক সময়ে স্কুলে কাজ করতেন। এরপর সক্রিয় রাজনীতিতে পা। চাকরি থেকে অস্থায়ী অবসর (lien) নিয়ে মন দিয়ে রাজনীতিটাই করছেন আলিপুরদুয়ার-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস। এরইমধ্যে তাঁর নামে একটি চিঠি এসেছে নির্বাচন কমিশন থেকে। বলা হয়েছে, ভোটের ডিউটি করতে হবে তাঁকে। চিঠি পেয়ে চোখ কপালে উঠেছে সভাপতির। জন প্রতিনিধি কী করে ভোটের কাজ করবেন। এ প্রশ্ন তুলে পাল্টা কমিশনকে চিঠি দিতে চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘ভোটকে কার্গিলের যুদ্ধক্ষেত্র ভাবছে বিজেপি’, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্রাত্যর
অনুপ দাস আলিপুরদুয়ার ম্যাকউইলিয়াম হাই স্কুলের কর্মী। গত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটে দাঁড়ান তিনি। জয়ীও হন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসাবে মনোনীত করা হয় তাঁকে। অনুপ দাসের কথায়, নির্বাচনের আগেই তিনি চাকরি থেকে পাঁচ বছরের অস্থায়ী অবসর নেন। এখন তাঁর স্কুলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি একজন জন প্রতিনিধি। কোনওরকম খোঁজ খবর ছাড়াই কীভাবে তাঁর নামে এই ভোটের ডিউটির চিঠি এল প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কবে ভোট, কে প্রার্থী কিচ্ছু জানা নেই, পুরুলিয়ায় বিজেপি প্রার্থীর ‘সমর্থনে’ ব্যানার
অনুপ দাস বলেন, “খোঁজ নিয়ে এই তালিকাটা আসা উচিৎ। আমি আড়াই বছর ধরে এখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। এই মুহূর্তে আমি লিয়েনে আছি। এখন স্কুলের সঙ্গে আমার কোনওরকম সম্পর্ক নেই। পাঁচ বছর পর আবার আমি স্কুলে জয়েন করব। সেই জায়গায় আমার ডিউটি চলে এল, আমি অবাক হলাম। বিষয়টা কমিশনকে তো জানাবই। একইসঙ্গে রিটার্নিং অফিসার, জেলাশাসককেও জানাব। আমি একজন রাজনৈতিক লোক। কীভাবে এই ডিউটি আমি করতে পারি?” যদিও এ বিষয়ে জেলাশাসকের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।