আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে এসে ফের বিস্ফোরক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা (John Barla)। এবার তাঁর অভিযোগ আমলাদের বিরুদ্ধে। বুধবার আলিপুরদুয়ার থেকে বিজেপি সাংসদের দাবি, আড়াই বছরের বেশি হল তাঁর সঙ্গে জেলা শাসক দেখা করেন না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, তিনি আসলে দেখা করতেই চান না। শুধু তাই নয়, বিডিও থেকে এসপি কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান না বলে অভিযোগ তাঁর। আর এর কারণ নাকি কেন্দ্রীয় প্রকল্প!
এদিন জন বার্লার অভিযোগ করেন, “আড়াই বছর হয়ে গেছে আজ অব্দি উনি দেখা করেননি। ফোন করলে ফোন তোলেন না। আমি দেখা করলে ১৪৪ ধারা লাগিয়ে দেয়। কেন? আমি একদিক দিয়ে ঢুকলে উনি অন্যদিক দিয়ে চলে যান! কেন?” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি জনপ্রতিনিধি, কেন আমার সঙ্গে দেখা করেন না! আমাকে একদিনও মিটিংয়ে ডাকা হয়নি। বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক কাউকে ডাকা হয় না? এটা ডেভেলপমেন্ট?”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিযোগ, তিনি অনেক কাজ করতে চান। কাজ করতে চাইলে বলা হয় রাজ্য সরকারের ফান্ড নেই। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কাজ করতে চাইলে, সেখানেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। জন বার্লা প্রশ্ন তোলেন, “স্বাস্থ্যসাথী কোথায় গেল? আয়ুস্মান ভারত ৫ লক্ষ টাকার। কেন ইমপ্লিমেন্ট করছে না? কিষান যোজনায় যারা বিজেপি করছে তাদের লিস্ট কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে না। যারা টিএমসি করে তাদের হচ্ছে। উন্নয়নে তো ওরাই বাধা দিচ্ছে। এত স্কিম কেন রাজ্য সরকার ইমপ্লিমেন্ট করছেনা?”
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে ধারাবাহিক ভাবে জন বার্লা দাবি করে আসছিলেন তিনি পৃথক উত্তরবঙ্গ চান। শুরু হয় বিতর্ক। পরে কেন্দ্রীয় বিজেপির হস্তক্ষেপে সেই অবস্থান থেকে বার্লা সরে এলেও এদিন ফের রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করলেন।
তাঁর মন্তব্য, “আমি অন্য রাজ্য ঘুরেছি। আমাদের রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে চিকিৎসা করতে যেতে হচ্ছে। এখানে কোন ইন্ডাস্ট্রি আছে? আজ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী একটা ইন্ডাস্ট্রি আনতে পারলেন না। আর জেলা প্রশাসনের কেউ তো দেখাই করছেন না”। এর পর তিনি যোগ করেন, “জেলা শাসক চাইলে অনেক কিছু করতে পারব। প্লেসমেন্ট দিতে পারব। আমরা দিতে চাই। মণিপুরে গিয়ে অনেক কমিউনিটি হল, সদভাবনা মন্দির স্কুল করে এসেছি। এখানে কিছুই নেই। রাজ্য সরকার নিতে চায় না। আমি এই রাজ্যের বাসিন্দা। এই রাজ্যকে প্রাধান্য দিতে চাই”।
আরও পড়ুন: Malda School Open: সরকারি নির্দেশই সার, মালদায় দিব্যি খোলা সরকারি ও বেসরকারি স্কুল!
আরও পড়ুন: Sunil Mondal: পদ্ম হয়ে ঘাসফুলে ফিরেও রক্ষা নেই, গ্রাম থেকে প্রায় তাড়িয়েই দেওয়া হল সাংসদকে!