AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alipurduar TMC: ধরে নিতে হবে দলে গুরুত্ব নেই… আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল চেয়ারম্যানের বক্তব্যে শোরগোল

Alipurduar News: মৃদুল গোস্বামী জানান, কিছুদিন ধরে দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ তাঁকে জানানোই হচ্ছে না। এমনকী দলের সভাতেও ডাক পাচ্ছেন না তিনি।

Alipurduar TMC: ধরে নিতে হবে দলে গুরুত্ব নেই... আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল চেয়ারম্যানের বক্তব্যে শোরগোল
বাঁদিকে মৃদুল গোস্বামী। ডানদিকে অনুগামীরা।
| Edited By: | Updated on: Feb 02, 2023 | 6:09 PM
Share

আলিপুরদুয়ার: জেলায় একের পর এক কর্মসূচি করে দল। অথচ জেলার চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও ডাক পান না তিনি। প্রকাশ্যে এবার অভিমান উগরে দিলেন আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) তৃণমূল চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, সংগঠনে যদি প্রয়োজনীয়তা কমে যায়, তাহলে তিনি ওকালতিতেই বেশি সময় দেবেন। এদিকে মৃদুল গোস্বামীর এই বক্তব্য সামনে আসার পর বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হন অনুগামীরা। স্পষ্ট বলেন, দাদা কোনও কারণে সরে যাবেন, তা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না। এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এতদিন জেলার বিভিন্ন ব্লকে অভিযোগ উঠছিল, তৃণমূলের অন্দরে দলাদলি চলছে। মৃদুল গোস্বামী এদিন আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে প্রকাশ‍্যেই নিজের ‘ক্ষোভ’ তুলে ধরেন। যদিও এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক জানান, আমাদের জেলায় কোনও সমস্যা নেই, কোনও ভুল বোঝাবুঝি নেই।

মৃদুল গোস্বামী জানান, কিছুদিন ধরে দলের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়ে যাচ্ছে। অথচ তাঁকে জানানোই হচ্ছে না। এমনকী দলের সভাতেও ডাক পাচ্ছেন না তিনি। তাঁকে না জানিয়ে দলের জেলা কমিটি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলেও জানান। মৃদুল গোস্বামী জানান সম্প্রতি চা বাগানের পিএফ নিয়ে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদের ঘর ঘেরাও কর্মসূচি নেওয়া হয়। গত ২৫ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়াতে এই নিয়ে সভা হয়। সেই সভায় তাঁকে ডাকা হয়নি।

মৃদুল গোস্বামী বলেন, “আমি আইনজীবী, আমি প্র্যাকটিস করি। দলের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে তা নিয়মিত হয় না। কোর্টের কাজ আমাকে করতে হবে। এটা আমার পেশা। তবে আমি বলেছি, বেশ কিছুদিন ধরেই আমার জেলায় আমার দলের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমি অন্ধকারে থাকছিলাম। সম্প্রতি একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে পিএফ ইস্যু নিয়ে। আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন বিজেপি বিধায়কের বাড়ির সামনে ধরনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। ২৫ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ারের পথের সাথীর একটা মিটিং হয়। আমি বাড়িতে ছিলাম। মিটিং থেকে আমাকে কয়েকজন ফোন করে জানতে চাইল, আমি কেন যাইনি। আমি তো অবাক। আমি তো কিছু জানিই না যে মিটিং হচ্ছে জেলার। আমাকে কেউ জানায়ইনি। পরে জেলা সভাপতি ফোন করেন। আমি জানালাম সবটা। এটা আমার আত্মসম্মানে লেগেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে দলের চেয়ারম্যান করেছেন। জেলার সভাপতি একটা জেলার মিটিং করবেন, আমি যদি চেয়ারম্যান হয়ে জানতেই না পারি। ধরে নিতে হবে আমার গুরুত্ব নেই। আমি সে কথাই বলেছি প্রকাশ্যে। শীর্ষনেতৃত্বকেও জানিয়েছি। এটা একটা ঘটনা নয়।”