Alipurduar Municipality: আলিপুরদুয়ারে ‘দলীয় নির্দলের’ কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল! ৪৮ ঘণ্টায় সমস্যা মিটবে? উঠছে প্রশ্ন

Municipal Election: আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৬, ৭, ১০, ১৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দলের কাঁটা ভাবাচ্ছে শাসকদলকে।

Alipurduar Municipality: আলিপুরদুয়ারে 'দলীয় নির্দলের' কাঁটায় বিদ্ধ তৃণমূল! ৪৮ ঘণ্টায় সমস্যা মিটবে? উঠছে প্রশ্ন
পুরভোটের মুখে নয়া বিড়ম্বনা আলিপুরদুয়ারে। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 14, 2022 | 8:59 PM

আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার পুরসভায় (Alipurduar Municipality) পাঁচটি ওয়ার্ডে শাসকদলের কাঁটা নির্দল প্রার্থীরা (Independent Candidate)। ২৭ তারিখের ভোটে এই নির্দল প্রার্থীরা তৃণমূলকে ভালই বেগ দিতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল কংগ্রেসে টিকিট না পেয়ে তাঁরা নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। সকলেই এলাকায় পরিচিত তৃণমূলের (Trinamool Congress) কর্মী হিসাবেই। এমনকী নির্দলে মনোনয়ন দিলেও প্রকাশ্যে নিজেদের তৃণমূলের সৈনিক হিসাবেই দাবি করছেন। আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৬, ৭, ১০, ১৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে নির্দলের কাঁটা ভাবাচ্ছে শাসকদলকে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, ” নির্বাচনে নির্দলরা কোনও ফ্যাক্টরই হবে না। আমাদের দলীয় প্রার্থীরা রয়েছেন। জয় আমাদেরই হবে।” আলিপুরদুয়ারে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী ঝুমা মিত্র। তাঁর স্বামী পুলক মিত্র বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার মা। এখানে তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তাই আমার স্ত্রীকে ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছি।” পুলক মিত্রের দাবি, তাঁর স্ত্রী তৃণমূল সমর্থিত নির্দল প্রার্থী। প্রচারেও বলছেন, প্রার্থী ঝুমা মিত্র তৃণমূল সমর্থিত নির্দল। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় এই ওয়ার্ডের জন্য যে প্রার্থীর নাম রয়েছে সেই অপর্ণা নায়েক মজুমদার এখনও প্রচারেই নামেননি বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে ঝুমা মিত্রের বাড়ি সেজেছে তৃণমূলের দলীয় পতাকায়। ফলে ১০ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে রীতিমতো বেকায়দায় শাসকদল।

আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডেও একই বিড়ম্বনা। এখানকার নির্দল প্রার্থী সঞ্জয় সরকার। তিনি তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মী ছিলেন। স্থানীয়রা ভেবেছিলেন, তিনিই এবার কাউন্সিলার পদপ্রার্থী হবেন দলের। কিন্তু তেমনটা হয়নি। কলকাতা থেকে যে তালিকা এসেছে জেলা নেতৃত্বের কাছে, সেখানে নাম রয়েছে পার্থপ্রতিম সরকারের। ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের কথা বলে প্রচারে নেমেছেন সঞ্জয় সরকার। তাঁর প্রতীক আবার জোড়া পাতা। সঞ্জয় সরকার বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত। দীর্ঘদিন ধরে দল করেছি। অথচ আমাকেই প্রার্থী করা হয়নি। তাই নির্দল হিসাবে ভোটে দাঁড়িয়েছি। জয় আমার নিশ্চিত।”

একইভাবে ৬, ১৩, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডেও এই দোলাচলতা। ভোট কাটাকুটির খেলায় এইসব ওয়ার্ডে বিজেপি লাভবান হবেন বলে বিজেপির জেলা সভাপতি ভূষণ মোদক দাবি করেছেন। তাঁর মতে, এবার আসল তৃণমূল কংগ্রেস হারবে। তবে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা পুরভোটে আলিপুরদুয়ারের কোঅর্ডিনেটর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, “নির্দল নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা তো নির্দলের। আলিপুরদুয়ারে ২০টাতেই তৃণমূল জিতবে।” কিন্তু সত্যিই কি ‘বিদ্রোহী’ নির্দলরা শাসকদলকে ভাবাচ্ছে না? না হলে কেন তৃণমূলকে ‘দলীয় নির্দলদের’ প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হল?

আরও পড়ুন: নির্দলদের ৪৮ ঘণ্টা সময় দিল তৃণমূল, এরপরই দল থেকে বহিষ্কার!

আরও পড়ুন: Purba Burdwan: ক্লাবের নামে তোলাবাজি ঘিরে তুলকালাম! পরিস্থিতি সামাল দিতে নামল র‍্যাফ