AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Alipurduar Municipal Election 2022: চাপের কাছে নতিস্বীকার, চোখের জলে নির্দল প্রার্থী জানালেন ‘ভুল হয়ে গিয়েছে’

Bengal Municipal Election: সেখানে এক এক করে নির্দল প্রার্থীদের ভোটে না দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করাতে উঠেপড়ে লেগেছে শাসকদল।

Alipurduar Municipal Election 2022: চাপের কাছে নতিস্বীকার, চোখের জলে নির্দল প্রার্থী জানালেন 'ভুল হয়ে গিয়েছে'
আলিপুরদুয়ারের কয়েকটি পুরসভায় লড়ছেন না নির্দল প্রার্থী (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Feb 16, 2022 | 2:20 PM
Share

আলিপুরদুয়ার: বিক্ষুব্ধদের নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি শাসকদলের অন্দরে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করা নিয়ে একাধিক বার দলের উচ্চ নেতৃত্বের কাছ থেকে চাপ এসেছে। আর সেই চাপের কাছে কেউ নতি স্বীকার করেছেন কেউ আবার করেননি। তবে আলিপুরদুয়ারের গল্পটা অন্য। সেখানে এক এক করে নির্দল প্রার্থীদের ভোটে না দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করাতে উঠেপড়ে লেগেছে শাসকদল।

সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ প্রার্থী। এই বছর দলে টিকিট না পেয়ে নির্দলে দাঁড়িয়েছিলেন। এরপর হঠাৎ প্রার্থী নিজের ‘ভুল স্বীকার’ করে ভোটে না লড়ার কথা জানিয়ে জেলা সভাপতিকে অঙ্গীকার পত্র দিয়েছেন। একা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নয়, তাঁর দলে রয়েছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থীও। তিনিও সরে দাঁড়ালেন। আসলে নির্দল প্রার্থীরাই যে শাসক দলের কাঁটা তা বুঝতে পেরে ঘাসফুলই নির্দলদের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে নিজেদের দলে টানতে তৎপর হয়েছে এমনটাই খবর।

আলিপুরদুয়ার পুরসভায় ৫ টি ওয়ার্ডে শাসকদলের গলার কাঁটা হয়েছেন নির্দল প্রার্থীরা। পুরভোটে বিরোধীদের থেকেও তাঁদের নিয়েই বেশি চিন্তায় রয়েছে তৃণমূল। ফলত তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকে শাসকদল। যদিও এরা সবাই তৃণমূলের সৈনিক ছিলেন বলে দাবি করেছেন নির্দল প্রার্থীরা।

আলিপুরদুয়ার পুরসভার এই ওয়ার্ডগুলি হল ৬,৭,১০,১৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ড। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, “এবার নির্বাচনে নির্দলরা কোনও ফ্যাক্টরই হবে না। আমাদের দলীয় প্রার্থীরা রয়েছেন। ওদের সঙ্গে কথা বলে যা ম্যাসেজ দেওয়ার দিয়ে দিয়েছি। জয় আমাদের হবেই।” যদিও, একথা বলার পরও নির্দলদের কাছে টানতে মরিয়া প্রয়াস চালাচ্ছে ঘাসফূল।

আলিপুরদুয়ার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এর নির্দল প্রার্থী সঞ্জয় সরকার। তিনি তৃণমূল যুব কংগ্রেস কর্মী ছিলেন। এই বছর তাঁকে প্রার্থী করা হয়নি। এ নিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে অনেকবার। এরপর প্রার্থী করা হয় পার্থপ্রতিম সরকারকে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে ইতিমধ্যে তৃণমূলের কথা বলে প্রচারে নেমেছিল সঞ্জয় সরকার। তার প্রতীক জোড়া পাতা। সঞ্জয় বলেন, “আমি মমতা ব্যানার্জীর আদর্শে অনুপ্রাণিত। দীর্ঘদিন ধরে দল করেছি। আমাকে প্রার্থী করা হয়নি। তাই নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। এখন নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি না। যাকে প্রার্থী করা হয়েছে তার হয়েই কাজ করব।” রাতারাতি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছেন তিনি।

একই অবস্থা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের। ওই নির্দল প্রার্থীও সরে দাঁড়ালেন। দু’জন নির্দল প্রার্থী সরে দাঁড়ালেন। বাকী আর ও তিন প্রার্থীকে কাছে টানতে মরীয়া দল। ৬,১০ এবং ১৩ নম্বর এর নির্দল প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত কী করেন সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: Land filling: বারণ সত্ত্বেও পাত্তা দিচ্ছে না কেউ, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালেই মাফিয়ারা চালাচ্ছে জমি ভরাটের কাজ