Woman commits suicide: ২ শিশুসন্তানকে বারান্দায় বসিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ গৃহবধূর, হাবুডুবু খেতে দেখেও কিছু করতে পারল না কেউ
Woman commits suicide: জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ওই গৃহবধূ দুই শিশুসন্তানকে ঘরের বারান্দায় বসিয়ে রেখে কুয়োতে ঝাঁপ দেন। তাঁকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করতে তাঁর ছোট ননদ রশি ছুড়ে দেন। কিন্তু তিনি সেই রশি ধরতে অস্বীকার করেন।
আলিপুরদুয়ার: কোলের দুই শিশু সন্তানকে ঘরের বারান্দায় বসিয়ে রেখে কুয়োয় ঝাঁপ গৃহবধূর। চোখের সামনে তিনি কুয়োয় ডুবে গেলেও কেউ কিছু করতে পারলেন না। মৃত্যু হয় বছর পঁচিশের ওই গৃহবধূর। মৃতের নাম কল্পনা দাস বর্মণ। ঘটনাটি ঘটেছে অসম-বাংলা সীমানাবর্তী বারোবিশার পূর্ব চকচকায়।
সাড়ে চার বছর আগে পূর্ব চকচকার দীপক বর্মণের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কল্পনার। ভালবেসে বিয়ে করেন তাঁরা। তাঁদের দুই শিশুসন্তান রয়েছে। দীপক ইলেকট্রিকের কাজ করেন। আগে বাইরে থাকতেন। গত ৭ মাস আগে বাড়ি ফিরে আসেন। তারপর এলাকাতেই ইলেকট্রিকের কাজ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ওই গৃহবধূ দুই শিশুসন্তানকে ঘরের বারান্দায় বসিয়ে রেখে কুয়োতে ঝাঁপ দেন। তাঁকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করতে তাঁর ছোট ননদ রশি ছুড়ে দেন। কিন্তু তিনি সেই রশি ধরতে অস্বীকার করেন। এদিকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে আসেন। হাবুডুবু খেতে খেতে ওই গৃহবধূ জলে তলিয়ে যান। দীপক কাজে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে আসেন তিনি।
খবর দেওয়া হয় বারোবিশা দমকল কেন্দ্রে। দমকল কর্মীরা কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পাম্পের সাহায্যে কুয়োর জল বের করে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন। কামাখ্যাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও ওই গৃহবধূ গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এদিন ঠিক কী কারণে তিনি কুয়োয় ঝাঁপ দেন, তা পরিবারের কেউ বলতে পারেননি।