বামের ঘরে রামের প্রার্থী, ‘সৌজন্যের রাজনীতিতে’ বেড়ে খেললেন মধুসূদন

এই বিষয়ে বাম নেতা ও প্রার্থী শক্তি মোহন প্রথমে উত্তর দিতে না চাইলেও পরে জানান, তাঁদের লড়াই আদর্শের জন্য লড়াই। কর্মসংস্থানের দাবিতে লড়াই। তাই তাঁদের আলাপ আলোচনা ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ ব্যতীত’ কিছুই নয়।

বামের ঘরে রামের প্রার্থী, ‘সৌজন্যের রাজনীতিতে’ বেড়ে খেললেন মধুসূদন
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 17, 2021 | 8:25 PM

হুগলি: সকালে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন তা ভাবতেও পারেননি আরামবাগের বাম প্রার্থী (CPM) শক্তি মোহন মালিক। বুধবার সকালে, নির্বচনী প্রচারে বেরিয়ে সটান শক্তি মোহনের বাড়ি গিয়ে হাজির হন বিজেপি (BJP) প্রার্থী মধুসূদন বাগ। উদ্দেশ্য, কুশল বিনিময় ও খোশ গল্প করা।

নিজের বাড়ির দোরগোড়ায় মধুসূদনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে প্রথমটা একটু অবাকই হন শক্তি মোহন। অবশ্য, অল্প সময়েই নিজের অস্বস্তি কাটিয়ে নিয়ে মধুসূদনের সঙ্গে খোশ মেজাজে গল্প করতেও বসে জান বর্ষীয়ান নেতা।

এদিন, কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি একে অপরকে আলিঙ্গন করে শুভেচ্ছাও জানালেন। কিছুক্ষণ শক্তি মোহনের বাড়িতে থেকে তারপর সেখান থেকে বেরিয়ে যান মধুসূদন।

নির্বাচনের (West Bengal assembly election 2021) আগে দুই বিরোধী নেতার এ হেন কুশীলবের সম্পর্ক দেখে আরামবাগের রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু, সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে বিজেপি প্রার্থী মধুসূদন বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু আমরা নীতির লড়াইয়ে আছি। আমি সৌজন্যের রাজনীতিতে বিশ্বাস রাখি। আমরা দুজনেই পেশায় শিক্ষক। তাই আলোচনার গণ্ডিটা রাজনীতিতে সীমাবদ্ধ নয়।’

বিজেপি প্রার্থী আরও জানান, এদিন কেবল বন্ধুবর হয়েই শক্তি মোহনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। কোনও রাজনৈতিক চর্চা নয়, বরং ব্যক্তিগত কুশল প্রশ্নেই তাঁদের আড্ডা জমে ওঠে।

এই বিষয়ে বাম (CPM) নেতা ও প্রার্থী শক্তি মোহন প্রথমে উত্তর দিতে না চাইলেও পরে জানান, তাঁদের লড়াই আদর্শের জন্য লড়াই। কর্মসংস্থানের দাবিতে লড়াই। তাই তাঁদের আলাপ আলোচনা ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ ব্যতীত’ কিছুই নয়।

যদিও, এই ঘটনায়, আরামবাগের তৃণমূল (TMC) প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন তোলেননি।

উল্লেখ্য, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘সৌজন্যের রাজনীতি’কে হাতিয়ার করেছে প্রায় সব দলই। কিছুদিন আগে খেজুরির তৃণমূল প্রার্থী পার্থ প্রতিম দাস বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে হাত জোড় করে ভোট চেয়েছিলেন। সম্প্রতি, দমদম উত্তরের বাম প্রার্থী তন্ময় ভট্টাচার্যও তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে মুড়ি খেয়ে সৌজন্য প্রকাশ করেন।

বিধানসভা নির্বাচনে, ‘সৌজন্যের রাজনীতি’কে ব্যবহার করে ভোটে আশানুরূপ ফল পেতে চাইছে রাজনৈতিক দলগুলি, এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।

আরও পড়ুন: ‘সবাই অশিক্ষিত নয়’, তৃণমূলের পার্টি অফিসে গিয়ে মুড়ি খেয়ে বললেন তন্ময়