বাঁকুড়া: শীতের ভোরে রাস্তায় এমনিতেই লোক কম ছিল। কুয়াশা থাকায় দৃশ্যমানতাও ছিল কম। তাই ঝড়ের গতিতে ছুটছিল গাড়ি। আচমকাই বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় দোকানদাররা। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দুমড়ে মুছড়ে রাস্তার ধারে পড়ে ছিল একটি ট্রলার। রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছিলেন দুজনে।
তখনও বাকি দৃশ্য নজরে আসেননি কারোর। আর্তনাদ শুনতে পেয়ে খালে চোখ পড়তেই দেখেন, সেখানে পড়ে রয়েছে মারুতি ভ্যান। কারোর মাথা থেঁতলে গিয়েছে, কারোর মুখ দিয়ে বেরোচ্ছে রক্ত। দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত প্রত্যক্ষদর্শীরা। অযোধ্যায় পিকনিক করে ফেরার পথেই বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনার ভগবানপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার বলি ৪ জন। আশঙ্কাজনক আরও পাঁচ। তাঁদের বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃতরা প্রত্যেকেই বাঁকুড়া সদর থানার বেলিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও তাঁরা পুরুলিয়া থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। শিশু ও মহিলা-সহ মোট ন’জন ছিলেন মারুতি ভ্যানে। উল্টোদিক থেকে দ্রুত গতিতে আসছিল একটি ট্রলার। মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় দুটি গাড়ির। দুমড়ে মুছড়ে যায় ট্রলার। আর সংঘর্ষের অভিঘাতে পাল্টি খেয়ে রাস্তার ধারে খালে পড়ে যায় মারুতি ভ্যানটি।
আরও পড়ুন: ‘রাখি কার্ড দেবেন বলেছিলেন, তৃণমূলে যোগ দেওয়াচ্ছেন কেন?’ নেতার সামনেই ব্যাগড়া রাখিশিল্পীর
ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চার জনের। বাকিদের উদ্ধার করে স্থানীয়রাই দ্রুত হাসপাতালে পাঠান। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিস। ঘাতক ট্রলারের চালক ও খালাসি পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুলিসের অনুমান, বেপরোয়া গতির জন্যই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তদন্ত চলছে।