বাঁকুড়া: আগামী ১৩ নভেম্বর তালডাংরা বিধানসভায় উপনির্বাচন। চলছে ডান বাম সব দলের জোরদার প্রচার। তার মাঝেই এবার বিরোধী শিবির ছেড়ে শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দিল শাসকদলে। প্রাক নির্বাচন এই যোগদান তাঁদের অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি করল বলেই দাবি তৃণমূলের। সবই নাটক ও মিথ্যাচার। তৃণমূলের কর্মীদের জামা খুলে তা আবার পরানো হচ্ছে, পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির।
তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই দলবদলের ঘটনা বাড়ছে বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভা কেন্দ্রে। সোমবার রাতে তালডাংরা বিধানসভার সিমলাপালে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে বিজেপি সহ অন্যান্য দল ছেড়ে প্রায় ১৮১ জন নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেন বলে দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে ওই সমস্ত নেতাকর্মীদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা তৃনমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অলকা সেন মজুমদার ও উপনির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহ বাবু সহ একাধিক নেতৃত্ব।
উপনির্বাচনের আগে শাসকদলে এই যোগদানের ফলে তৃণমূল অনেকটাই শক্তি বৃদ্ধি করল বলে দাবি উপনির্বাচনের প্রার্থী সহ তৃণমূল নেতৃত্বের। প্রার্থী তাঁদের পছন্দ হয়নি। তৃণমূল থেকে লোক নিয়ে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে। তাছাড়া বিজেপিতে থেকে মানুষের উন্নয়নের কাজ করা যায় না। তাই তৃণমূলে যোগদান বলে দাবি দলবদলু বিজেপি নেতৃত্বের। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে পদ্ম শিবিরও। বিজেপির কটাক্ষ, এই যোগদান আসলে তৃণমূলের নাটক ও মিথ্যাচার। তৃণমূল কর্মীদের জামা খুলে আবার জামা পরানো হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত, এই যোগদান কতটা প্রভাব ফেলবে ভোটবাক্সে, তার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ২৩ শে নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু এই যোগদান ঘিরে আপাতত সরগরম তালডাংরা বিধানসভা এলাকার রাজনীতি।