বাঁকুড়া: প্রার্থী তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিক্ষুব্ধদের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছে তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব। দল থেকে টিকিট না পেয়ে যারা মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁরা মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও সে কথাও জানানো হয়েছে। কিন্তু কোথায় কী? মনোনয়ন প্রত্যাহার দূর, দলের হুশিয়াঁরীকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে রমরমিয়ে প্রচার। মঙ্গলবার বাঁকুড়ার ছবিটা অন্তত এমনটাই দেখা গেল।
এদিন সকাল থেকেই নির্দল প্রার্থীদের একাংশ নামলেন প্রচারে। দাপিয়ে প্রচার সারলেন নিজের-নিজের ওয়ার্ডে। লক্ষ একটাই, তৃণমূলের অফিসিয়াল ভোট ব্যাঙ্ককে নিজের দিকে টেনে আনা। যদিও, সে গুড়ে বালি বলছে তৃণমূল।
বাঁকুড়া পুরসভার ২৪ টি ওয়ার্ডের মধ্যে বহু ওয়ার্ডেই তৃণমূলের প্রার্থী পছন্দ হয়নি। নীচু তলার কর্মীদের প্রার্থী বদলের দাবিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভের মাঝেই প্রায় দশটি ওয়ার্ডে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন বিক্ষুব্ধরা। বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে কৌশলে বিক্ষুব্ধদের বাগে এনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে শাসক দল সমর্থ হলেও নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন ১,৩,৭ ও ১৮ নম্বর সহ বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীরা।
দলীয় প্রার্থীর জয়ে এই নির্দল প্রার্থীরাই প্রধান কাঁটা হয়ে উঠতে পারে এই আশঙ্কায় গতকালই তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব হুঁশিয়ারী দেয়। এখানেই শেষ নয় সঙ্গে জেলার নেতাদের হুঁশিয়ারিও রয়েছে। কিন্তু তারপরও বদলায়নি ছবিটা। দলীয় হুশিয়ারীকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে আজ সকাল থেকে একাধিক ওয়ার্ডে প্রচারে নামলেন বিক্ষুব্ধ নির্দল প্রার্থীরা। তাঁদের দাবি শাসক দলের ভোট ব্যাঙ্কে ভাগ বসিয়ে জয়ের ব্যাপারে তাঁরা একশো শতাংশ আশাবাদী।
যদিও, তৃণমূলের দাবি নির্দল প্রার্থীরা তাঁদের ভোট ব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি তৃণমূলের ভাগাভাগি ও কাটমানির গন্ডগোলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। বিজেপি বিধায়ক সুভাষ সরকার বলেন, “ওরা যেভাবে কাটমানি খেয়েছে সেই কাটমানির ভাগ নিয়ে গণ্ডগোল। আমরা এই ব্যাপারে কিছু বলব না। পরিষ্কার পৌরসভা, সেটা তৈরি করার জন্য বিজেপি বদ্ধ পরিকর। ”
আরও পড়ুন: Dev reached CBI Office: সিবিআই দফতরে দেব, গরু পাচারকাণ্ডে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ
আরও পড়ুন: Bidhannagar Municipal Election 2022: বিধাননগরে ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’, সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি ‘ভাঙচুর’