Bankura: এলাকায় সাংবাদিক, সরকারি আধিকারিক পরিচয় দেওয়া ছেলেটাই কি না…, মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আঁতকে উঠছেন বাবা

Bankura: বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ঘটনা। ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিল নাবালিকা। পথেই যে বিপদ ওঁত পেতে রয়েছে বুঝতে পারেনি।

Bankura: এলাকায় সাংবাদিক, সরকারি আধিকারিক পরিচয় দেওয়া ছেলেটাই কি না..., মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে আঁতকে উঠছেন বাবা
বিষ্ণুপুর থানা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 07, 2022 | 8:28 PM

বাঁকুড়া: কখনও ফিল্ম ডিরেক্টর, কখনও বা সাংবাদিক আবার কখনও সরকারি আধিকারিক! তাকে নিত্যদিন নতুন-নতুন পরিচয়ে চিনতেন এলাকাবাসী। কিন্তু ভিতরে-ভিতরে যে ‘এই’ তা হয়ত আন্দাজ করতে পারেননি তাঁরা। মুখে কাপড় বেঁধে এক নাবালিকাকে বাবার হাত থেকে ছিনিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা ওই যুবকের। পরে এলাকাবাসী জড়ো হতেই চিনতে পারেন তাকে।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের ঘটনা। ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিল নাবালিকা। পথেই যে বিপদ ওঁত পেতে রয়েছে বুঝতে পারেনি। মুখ ঢেকে বাইকে আসে আরও দুই যুবক। বাবার সামনেই গাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে মেয়েটির বাবার চিৎকারে ছুটে আসে এলাকাবাসী। তাঁদের আসতে দেখেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। কিন্তু সফল হয়নি। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের বাড়ি ওই এলাকাতেই। ধৃতকে মঙ্গলবার বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে চোদ্দ দিনের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে বাবার সঙ্গে বাইকে চেপে বিষ্ণুপুরে ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছিল। জয়পুরের দিক থেকে আরামবাগ বিষ্ণুপুর রাজ্য সড়ক ধরে আসার সময় বিষ্ণুপুর শহরে ঢোকার মুখে কাটানধার এলাকায় রাস্তা আটকায় ওই যুবক। এরপরে ওই যুবক বাইকের পিছনে বসে থাকা ওই নাবালিকাকে বাইক থেকে নামিয়ে জোর করে জঙ্গলের দিকে টেনে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এইসময় নাবালিকার বাবা চিৎকার চেঁচামেচি করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। এরপরই অভিযুক্ত যুবক জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।

পরে বিষ্ণুপুর থানায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ওই যুবককে প্রথমে চিনতে না পারলেও পূর্ব পরিচিত হওয়ায় পরে অভিযুক্তকে তারা চিনতে পারেন। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত যুবক কখনও নিজেকে সাংবাদিক, আবার কখনও সরকারি আধিকারিক, এবং কখনো ফিল্মের ডিরেক্টর পরিচয় দিত এলাকায়। এইসব পরিচয় দিয়ে ধৃত যুবক এলাকায় তোলাবাজি করত বলেও অভিযোগ।

ধৃতকে আজ বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেয় বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত। এ দিন, আদালত চত্ত্বরে তাকে ফাসানো হয়েছে বলে দাবি করেছে অভিযুক্ত যুবক। আদালত থেকে বেরোনোর সময় অভিযুক্তর দাবি সে পুলিশের গোয়ান্দা হিসাবে কাজ করত।