Saumitra taunts Partha: পার্থর জন্য ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচে’র ‘গোল্ডেন কাপ’, ‘যুবকদের স্বপ্ন ভঙ্গের প্রাইজ়’ দেওয়ার পরামর্শ সৌমিত্রর

Saumitra Khan: সৌমিত্র খাঁ-র মন্তব্য, "দুর্গাপুজোর সময় যেমন মণ্ডপের জন্য প্রাইজ় দেওয়া হয়। পার্থবাবুকে গোল্ডেন কাপ দেওয়া উচিত বাংলার যুবকদের স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ার জন্য।"

Saumitra taunts Partha: পার্থর জন্য 'ম্যান অব দ্য ম্যাচে'র 'গোল্ডেন কাপ', 'যুবকদের স্বপ্ন ভঙ্গের প্রাইজ়' দেওয়ার পরামর্শ সৌমিত্রর
পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে খোঁচা সৌমিত্র খাঁর
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 11:05 PM

বিষ্ণুপুর : বাংলার যুবকদের স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ার জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘গোল্ডেন কাপ’ দেওয়া উচিৎ। সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রাজ্যের শাসক শিবিরকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “চাকরির ক্ষেত্রে অর্থ কিংবা প্রভাব খাটানো দুইই খারাপ। এতে শিক্ষার্থী ও চাকরীপ্রার্থীরা মনোবল হারায়। রাজ্য সরকার পুরোটাই টাকার বিনিময়ে অথবা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের দেয়। এটা অনৈতিক। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন চোর সাব্যস্ত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ দেওয়া উচিত। বাংলার যুবকদের স্বপ্ন তিনি ভেঙেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাস্থ্য দফতরেও এমন অনৈতিকভাবে চাকরি হয়েছে।”

এরপরই তাঁর মন্তব্য, “দুর্গাপুজোর সময় যেমন মণ্ডপের জন্য প্রাইজ় দেওয়া হয়। পার্থবাবুকে গোল্ডেন কাপ দেওয়া উচিত বাংলার যুবকদের স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ার জন্য।” উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি নাকি কল্যাণী এইমসে চাকরি দেওয়ার জন্য টাকা নিয়েছেন। তার পাল্টা দিতে দিয়ে জগন্নাথ বাবু যে মন্তব্য করেছেন, তাতে বিতর্ক আরও বেড়েছে। তিনি বলেছেন, প্রভাব খাটিয়ে চাকরি দিতে পারলে তিনি নাকি গর্ব বোধ করেন। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে বাংলায় ক্ষমতায় এলে প্রভাব খাটিয়ে দল-মত নির্বিশেষে সব বেকারদের চাকরির ব্যবস্থা করবেন বলেও হুঙ্কার দিয়েছিলেন জগন্নাথ বাবু। সেই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরেই পার্থ বাবুকে পাল্টা বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি তথা বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।

উল্লেখ্য, গতকালই (রবিবার) বোমা ফাটিয়েছিলেন মালদার বিজেপি নেতা তথা সাংসদ (উত্তর মালদা) খগেন মুর্মু। বলেছিলেন, তিনি যখন সিপিএম ছাড়ার কথা ভাবছিলেন, তখনই অফার এসেছিল তৃণমূলে যোগ দেওয়ার। এর জন্য নাকি এসএসসি সহ ১০টি সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। সঙ্গে ছিল মোটা টাকা এবং ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদের অফারও। এমনই দাবি করেছেন খগেন মুর্মু। এই বিষয়ে সৌমিত্র বলেন, “খগেনদা বাস্তব কথা বলেছেন। তিনি এটা জানেন। তিনি দীর্ঘদিনের নেতা। হয়ত খগেনদাকে অফার দিয়েছিল এবং তিনি নিশ্চয়ই ঠিক বলেছেন।”

খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ঘাটালের তারকা সাংসদ দেবকেও। তৃণমূল সাংসদকে বক্রোক্তির সুরে সৌমিত্র বলেন, “মুখে বড়বড় কথা বলেন। কাজে তিনি লবডঙ্কা। লোকসভায় একদিন ছবি তুলে ৬ মাস ধরে তার প্রচার করেন। নিজেই নিয়ম করেন, আবার নিজেই সে নিয়ম ভাঙেন। কখনও তৃণমূলের পক্ষে, আবার কখনও বিপক্ষে বলেন। এখন সৎ সাজার চেষ্টা করছেন। অভিনেতা হিসাবে তিনি ভাল। কিন্তু সাংসদ হিসেবে তিনি বাংলাকে কিছুই দিতে পারেননি।”

রাজ্যে নিয়োগে অনিয়ম প্রসঙ্গে সৌমিত্র খাঁ-র এই খোঁচার পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। বিজেপিকে আক্রমণের সুরে তিনি বলেন, “চালুনি সূচের বিচার করছে। নিজেরাই আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে রয়েছে। নিজেদের মধ্যে চাকরি দেওয়া নিয়ে ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে অন্তর্কলহ আজ বিজেপির অন্দরে স্পষ্ট।”