Thief: চুরি করতে এসে চা বানিয়ে খেল চোর, কিছু না পেয়ে পালাল ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে

Bankura: দফতরের কর্মীদের চা খাওয়ার জন্য চিনি ও চা রেখেছিলেন। সেই পাত্রগুলিরও ঢাকনা খোলা। পাত্রগুলিতে রাখা চা ও চিনির পরিমাণও বেশ কিছুটা কম ছিল বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।

Thief: চুরি করতে এসে চা বানিয়ে খেল চোর, কিছু না পেয়ে পালাল ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে
লণ্ডভণ্ড অফিস
Follow Us:
| Updated on: Jun 06, 2022 | 7:56 PM

বাঁকুড়া: সরকারি অফিসে চুরি করতে এসেছিল চোর। ভেবেছিল টাকা পয়সা যা পাবে, লুঠ করে নিয়ে যাবে। সে জন্য রীতিমতো কৌশল করে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। আলমারিও ভেঙেছিল চোরের দল। কিন্তু আলমারি ভেঙে দেখে ভিতরে টাকা পয়সা কিছুই নেই। কী পাওয়া যায়, খোঁজ খোঁজ করে অফিসের সমস্ত ড্রয়ার কাগজপত্র উল্টে পাল্টে দেখে চোরের দল কিন্তু তেমন কিছু মেলেনি। হতাশ চোরের দল তখন দেখতে পায় অফিস ঘরের এক কোণে রাখা চায়ের কেটলি। চা, চিনি সবই রয়েছে সেখানে। উপায় না দেখে সেখানে চা বানিয়ে খায় চোরেরা। তার পর চা বানানোর ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে পালায়। যদিও অফিস ঘরে কম্পিউটার, অন্যান্য জিনিসপত্র থাকলেও তা নেয়নি চোরেরা। নিয়েছে শুধু ইলেকট্রিক কেটলি। আজব চুরির ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরে। শনি ও রবিবার অফিস বন্ধ থাকার পর সোমবার সকালে অফিসের এই অবস্থা দেখেন ওই দফতরের কর্মীরা। তা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বাঁকুড়ার জেলা শাসকের অফিস চত্বরে।

বাঁকুড়ার জেলা শাসক ও জেলা আদালত চত্বরেই রয়েছে জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর। শনি ও রবিবার থাকায় গত দু’দিন অফিস আসেননি দফতরের কর্মীরা। আজ সকালে কর্মীরা অফিসে এসে দেখেন, দফতরের পিছনের দিকে থাকা একটি দরজার তালা ভাঙা। সন্দেহ হওয়ায় দফতরের ভিতরে ঢুকে কর্মীরা দেখেন দফতরে থাকা সমস্ত আলমারির ভাঙা। টেবিলে থাকা নথিপত্র তছনছ হয়ে রয়েছে। ড্রয়ারে রাখা পয়েন্ট অফ সেল মেশিন রাখা রয়েছে টেবিলের উপর। কম্পিউটারের যন্ত্রাংশও অক্ষত রয়েছে। শুধু দফতর থেকে হারিয়ে গেছে ইলেকট্রিক কেটলি।

দফতরের কর্মীরা চা খাওয়ার জন্য চিনি ও চা রেখেছিলেন। সেই পাত্রগুলিরও ঢাকনা খোলা। পাত্রগুলিতে রাখা চা ও চিনির পরিমাণও বেশ কিছুটা কম ছিল বলে জানিয়েছেন কর্মীরা। কর্মীদের একাংশের ধারণা, গোটা অফিস তন্নতন্ন করে খুঁজেও নগদ অর্থ না পেয়ে হতাশ চোর বা চোরের দল ওই অফিসে রাখা ইলেকট্রিক কেটলিতে চা তৈরি করে খায়। পরে ইলেকট্রিক কেটলি নিয়ে চম্পট দেয়। বাঁকুড়ার জেলা শাসক ও জেলা আদালত চত্বরে থাকা আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর সিসি ক্যামেরায় মোড়া রয়েছে। এলাকায় নাইট গার্ড মোতায়েন থাকার কথা। তারপরও কী করে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছ।