Bankura Agitation: ‘তৃণমূলের বিক্ষোভকারীদেরও চাকরি দেব’, প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে চাকরি দেওয়ার বিতর্কে অকপট বিজেপি বিধায়ক

Bankura Agitation: সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সুরেই গলা মিলিয়ে তিনি বলেন. "সৌভাগ্য হলে যোগ্যতা বিচার করে তৃণমূলের বিক্ষোভকারীদেরও এমন চাকরি দেওয়া হবে।"

Bankura Agitation: 'তৃণমূলের বিক্ষোভকারীদেরও চাকরি দেব', প্রভাব খাটিয়ে মেয়েকে চাকরি দেওয়ার বিতর্কে অকপট বিজেপি বিধায়ক
বাঁকুড়ার বিক্ষোভ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 4:14 PM

বাঁকুড়া: “মেয়ের চাকরি হয়েছে, আমাদেরও চাকরি চাই”, এই দাবি তুলে বিজেপি বিধায়কের দোকানে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। সৌভাগ্য হলে যোগ্যতা যাচাই করে বিক্ষোভকারীদেরও এমন চাকরি দেব বলে পালটা দাবি করলেন বিধায়ক। প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়কের দোকানের সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃনমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। সুপারিশে মেয়ের চাকরির কথা অস্বীকার করেন বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সুরেই গলা মিলিয়ে তিনি বলেন. “সৌভাগ্য হলে যোগ্যতা বিচার করে তৃণমূলের বিক্ষোভকারীদেরও এমন চাকরি দেওয়া হবে।”

বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার মেয়ে মৈত্রী দানা বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের সুপারিশে কল্যাণীর এইমসে চাকরি পেয়েছেন। এই অভিযোগ সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে আলোড়ন। বিষয়টি নিয়ে পথে নেমেছে তৃণমূলও।

এক বিজেপি কর্মীই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে চিঠি করেন। সেই বিষয়টি উল্লেখ করেন। মুর্শিদাবাদের এক ব্যক্তি কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ৮ জনের নামের তালিকা জমা দেওয়া হয় থানায়। তাতে নাম ছিল বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, এইমসের ডিরেক্টরেরও।

ইতিমধ্যেই এই মামলায় তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। সেই তদন্তের মাঝেই এবার বাঁকুড়ার ভৈরবস্থান মোড়ে বিজেপির বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানার কাপড়ের দোকান ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল আইএনটিটিইউসি। সোমবার সকালে বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা নিজের দোকানে যখন বসেছিলেন তখন, আইএনটিটিইউসি-র বাঁকুড়া শহর সভাপতি শ্যামসুন্দর দত্তর নেতৃত্বে আইএনটিটিইউসি-র এক ফল কর্মী দোকানের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা বিধায়ক ‘চাকরি দাও, চাকরি চাই’ এই স্লোগান তোলার পাশাপাশি বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে গ্রেফতারের দাবি জানাতে থাকেন।  তৃণমূল নেতা শ্যামসুন্দর দত্ত বলেন, “এমপির সুপারিশে যাঁরা এইমসে চাকরি পেয়েছেন. তাঁদের যোগ্যতা নেই ওখানে চাকরি করার। বাঁকুড়ার মানুষের খবরও নেন না এমপি।” নিজের দোকানের সামনে এইভাবে বিক্ষোভের মুখে পড়ে স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “আমাকে প্রতিদিন বিক্ষোভ দেখাক তৃণমূল। আমি বিক্ষোভকারীদের চা জল খাওয়াব। কোনও নেতা মন্ত্রীর সুপারিশে আমার মেয়ে চাকরি পায়নি। সে নিজের যোগ্যতায় একটি বেসরকারি সংস্থায় অস্থায়ী চাকরী পেয়েছে।”

এরপরই সাংসদ জগন্নাথ সরকারের সুরে গলা মিলিয়ে বিধায়ক বলেন, “আগামীতে সেই সৌভাগ্য হলে এমন চাকরি শুধু ঘরে ঘরে নয়, যারা আজ আমাকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাদেরও ডেকে ডেকে এনে এমন চাকরি দেব।”

প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই জগন্নাথ সরকার বলেন, “চাকরি দিয়েছি, এক জনকে চাকরি দিতে পারলে আমি গর্ব অনুভব করি। এবং ভবিষ্যতে আরও দেব, যদি আমার প্রভাব বাড়ে।”