Bankura: যাত্রী তোলা নিয়ে ঝামেলা, চোখের সামনেই ছেলেটাকে পিটিয়ে মারল ‘ওরা’
Bankura: স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বাঁকুড়ার লালবাজার এলাকার বাসিন্দা বছর ষাটেকের সরফুল খাঁ আজ সকালে স্থানীয় বাস স্টপেজে এক আত্মীয়কে বাসে তুলতে যান।
বাঁকুড়া: মর্মান্তিক! ঘর থেকে বেরনোর সময়ও জানতেন না এমন ঘটনা ঘটবে। অজান্তেই দিতে হতে পারে প্রাণ। সামান্য বচসা, আর তারপরই এমন পরিণতি।
বাসে যাত্রী তোলা নিয়ে বচসা। এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ওই এলাকারই এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি বাঁকুড়ার মেজিয়া থানার লালবাজার এলাকায়। মৃতের নাম সরিফুল খাঁ। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা খবর, বাঁকুড়ার লালবাজার এলাকার বাসিন্দা বছর ষাটেকের সরফুল খাঁ আজ সকালে স্থানীয় বাস স্টপেজে এক আত্মীয়কে বাসে তুলতে যান। ওই আত্মীয়ের বাসে চাপা নিয়ে বাস কন্ডাক্টরের সঙ্গে সরফুলের বচসা বাধে। এই সময় বাস কন্ডাক্টরের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুল শেখ এগিয়ে এলে তার সঙ্গেও বচসা বাধে সরফুল খাঁর। অভিযোগ, এরপরই হাবিবুল শেখ, শামিম শেখ ও সেবারতি শেখ সহ বেশ কিছু বাসিন্দা সরফুলের উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সরফুল খাঁ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মেজিয়া থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। পাশাপাশি মেজিয়া থানার পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
এ দিকে, দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। বাসে চাপা নিয়ে বিবাদের জেরে এই খুন নাকি এই খুনের পিছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এক এলাকাবাসী বলেন, ‘বাসে চড়ে যাচ্ছিল। সেই সময় হয়ত কিছু কথা হয়েছে কনডাক্টরের সঙ্গে। এবার সেই ঝামেলা নিজের ঘাড়ে নিয়ে নেন হাবিবুল। এরপর তিনজন মিলে ওকে মারধর করে। আসলে গ্রামের লোকজন এদের ভয় পায়। ওদের অনেক টাকা। ওদের সঙ্গে পুরনো শত্রুতা কিছু ছিল না। ওদের কিছু বলতে গেলেই মারামারি হয়ে যায়।’