ইন্দপুর: খোদ বিডিও অফিসের গায়েই তৈরি হচ্ছে পাকা ঢালাই রাস্তা। সেই রাস্তায় যে সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের, এই অভিযোগ তুলে রাস্তায় চেয়ার নিয়ে বসে পড়লেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। তারপরেও থামেনি রাস্তা নির্মাণের কাজ। বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের এমন ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা।
সম্প্রতি পঞ্চদশ পরিকল্পনার বরাদ্দে বাঁকুড়ার ইন্দপুর ব্লকের বিডিও অফিস থেকে বাঁকুড়া রানিবাঁধ রাজ্য সড়ক পর্যন্ত পাকা ঢালাই রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ইন্দপুরের বিডিও-র তত্ত্বাবধানে শুরু হওয়া এই কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে সরব তৃণমূল পরিচালিত ইন্দপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শর্মিষ্ঠা বাউরী। ঢালাই চলাকালীন রাস্তার উপরেই চেয়ার নিয়ে বসে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু তারপরেও কাজ বন্ধ না করে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার গায়ের জোরে ওই রাস্তা নির্মাণের কাজ করেন বলে অভিযোগ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাময়িকভাবে ইন্দপুর বিডিও অফিসে ব্যাপক উত্তেজনার ছবি দেখা যায়। ঘটনার ছবি করতে গেলে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের ঠিকাদারের লোকজন গালিগালাজ করে বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি স্পষ্টতই বলেন, সরকার নির্দেশিকায় যে মানের সামগ্রী ব্যবহারের কথা রয়েছে তা মানছে না ঠিকা সংস্থা। প্রতিবাদ জানাতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয় বলেও অভিযোগ। বিডিও অবশ্য সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, এস্টিমেট অনুযায়ী কাজ হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব ইঞ্জিনিয়রদের। ইঞ্জিনিয়ররা সেই কাজ দেখছেন। এরপরেও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হলে এবং এস্টিমেট অনুযায়ী কাজ না হলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের টাকা শুধু আটকে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, ওই কাজ পুনরায় করানো হবে। অন্যদিকে ঠিকাদার আবার এই অভিযোগ সম্পর্কে কিছু জানাতে চাননি। তবে এই ঘটনায় রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বিজেপির দাব, আসলে এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। তারই প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছে দিকে দিকে।