New Year 2023: হাড়হিম করা ঠান্ডায়, কনকনে জলে ২ হাজার ২৩ খানা ডুব! অভিনব বর্ষবরণ যুবকের
Bankura News: সাল ২০২৩। তাই ২ হাজার ২৩টা ডুব দিলেন রবিবার সকালে। রীতিমতো গুনে গুনে সেই ডুব দেওয়া চলল।
বাঁকুড়া: হাড়হিম করা ঠান্ডা। এরইমধ্যে লালবাঁধের (Bankura Lalbandh) কনকনে জলে নেমে ২ হাজার ২৩ খানা ডুব! শুনে অনেকেই আঁতকে উঠতে পারেন। তবে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের চকবাজারের সদানন্দ দত্ত তা করে দেখালেন রবিবার। ২০২৩ ডুবে স্বাগত জানালেন ইংরাজির নতুন বছরকে। বয়স তিরিশের ঘরে। পেশায় গাড়ির চালক হলেও সদানন্দের শখ সাঁতার কাটা। ছোট বেলায় বাবার হাত ধরে বিষ্ণুপুরের এই ঐতিহাসিক লালবাঁধেই স্নান করতে আসতেন তিনি। প্রথাগত সাঁতার শিক্ষা না থাকলেও সাঁতারের প্রতি ভালবাসায় ধীরে ধীরে ভালই আয়ত্ত করেছেন এই বিদ্যা। লালবাঁধের জলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভেসে থাকেন তিনি। বিশাল লালবাঁধ পারাপারও করে ফেলেন অনায়াসে। সেই সদানন্দ প্রতি বছরই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে অভিনব পথ নেন। জলেই দেখান যাবতীয় খেল। তাঁর সেই ‘কসরত’ দেখতে লালবাঁধের ধারে ভিড় জমে যায় ফি বছর। এবারও সেই ছবিই দেখা গিয়েছে।
সাল ২০২৩। তাই ২ হাজার ২৩টা ডুব দিলেন রবিবার সকালে। রীতিমতো গুনে গুনে সেই ডুব দেওয়া চলল। জল থেকে যখন সদানন্দ উঠে এলেন তখন চোখ টকটকে লাল। বলেন, “২০১৬ সাল থেকে আমি বাংলা, ইংরাজি নববর্ষ এভাবেই বরণ করে চলেছি। এই নিয়ে আট বছর হল।” জানালেন ডুব দিয়ে রেকর্ড করতে চান তিনি। নাম তুলতে চান গিনেস বুকে। সদানন্দর কথায়, “আমি তো সাঁতার কাটতামই। ডুব দিতে দিতেই এই ভাবনা আমার মাথায় এল। অনেক মানুষ তো অনেক কিছুই করেন। আমি না হয় এভাবেই বছরটাকে স্বাগত জানালাম।”
সদানন্দর এই অবাক করে দেওয়া কৌশল দেখতে এসেছিলেন বিষ্ণুপুরেরই রিয়া অধিকারী। রিয়া জানালেন, বিয়ের পর এই প্রথমবার বর্ষবরণ এখানে। প্রথমবারই দেখতে এসেছেন সদানন্দ দত্তকে। রিয়া অধিকারীর কথায়, “অনেকে পিকনিকে যায়, পার্টি করে, ঘুরে বেড়ান। আর আমাদের চকবাজারের বাসিন্দা এভাবে বছর বরণ করলেন, সেটা দেখে খুবই ভাল লাগল। আমরা ওনাকে উৎসাহিত করতেই হাজির হলাম।”