নেই ভ্যাকসিন, অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা সেন্টারে, ‘দিনের পর দিন এসে খালি ফিরে যাচ্ছি’, অভিযোগ টিকাপ্রাপকদের

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফ থেকে নোটিস দিয়ে জানানো হয়,  পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন (Vaccine) না থাকার জন্য টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ করা হচ্ছে। তবে এর পর কবে টিকা দেওয়া হবে তা নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। 

নেই ভ্যাকসিন, অনির্দিষ্টকালের জন্য তালা সেন্টারে, 'দিনের পর দিন এসে খালি ফিরে যাচ্ছি', অভিযোগ টিকাপ্রাপকদের
বন্ধ হয়েছে টিকাদান, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 9:57 PM

পূ্র্ব মেদিনীপুর: করোনা টিকাকেন্দ্রে ঝুলছে তালা। বন্ধ টিকাদান। নোটিস দিয়েই দায় সেরেছেন কর্তৃপক্ষ। আর টিকা (Vaccine) নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন মানুষ। বিগত তিনদিন ধরে এই একই ছবি কোলাঘাট পাইকপাড়ী গ্রামীণ হাসপাতালে। গুরুতর সমস্যায় পড়েছেন টিকাপ্রাপকরা।

টিকাপ্রাপকদের অভিযোগ, পাইকপাড়ী গ্রামীণ হাসপাতালে কোলাঘাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফে  কোভিশিল্ডের (Covishield) প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এরপর, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার জন্য মেসেজ করা হয়েছিল হাসপাতালের তরফে। শনি, রবি, সোম তিনদিন টিকাদানের কর্মসূচি ছিল। সেইমতো হাসপাতালেও চলে আসেন টিকাপ্রাপকরা। কিন্তু, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের তরফ থেকে নোটিস দিয়ে জানানো হয়,  পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন (Vaccine) না থাকার জন্য টিকাকরণ কর্মসূচি বন্ধ করা হচ্ছে। তবে এর পর কবে টিকা দেওয়া হবে তা নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক।

ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসা সুরেশ মালাকার বলেন, “গত ৭ তারিখ সকাল থেকে লাইন দিয়েও ভ্যাকসিন পায়নি। সেইদিন হাসপাতাল‌ থেকে একটি টোকেন দেওয়া হয়। বলা হয় ৮ তারিখ সকাল দশটার সময় আসতে। এসে দেখি হাসপাতাল থেকে একটি নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনদিন ঘুরে আজও দেখি ভ্যাকসিন নেই। কবে পাবো ভ্যাকসিন সেটাও জানি না। প্রতিদিন এসে এইভাবেই ঘুরে যেতে হচ্ছে। দিনের পর দিন এসে খালি ফিরে যাচ্ছি।” ভ্য়াকসিনের দ্বিতীয় ডোজ না পেয়ে রীতিমতো শঙ্কিত টিকাপ্রাপকরা।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুর চড়িয়েছেন অধুনা তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী। তাঁর দাবি, রাজ্য প্রয়োজনমতো ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে না কেন্দ্র। যার ফলে সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতার দাবি, কেন্দ্র থেকে সময় মেনেই নিয়ম করে ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে এবং হবে। উল্লেখ্য, আরও বেশি সংখ্যক ভ্যাকসিন, কোভিড শয্যা ও করোনার ওষুধ রেমডিসিভির চেয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, কোভিডে জরুরি দ্রব্যাদির উপর কর মকুবের আবেদনও করেছেন মমতা (Mamata Banerjee)। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্য বিতরণের জন্য কোভিড চিকিৎসা সরঞ্জামের আইজিএসটি মকুব করেছিল। কিন্তু নবান্নের দাবি, আইজিএসটি মকুবের ক্ষেত্রে কিছু আইনি জটিলতা রয়েছে। সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্টের একটি নির্দেশ এই কর মকুব করতে বলেছিল। সার্বিকভাবে যাতে করমুক্ত করা হয়, তার আবেদন জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: অক্সিজেনের কালোবাজারি রুখতে তৎপর প্রশাসন, শহর জুড়ে জেলা পুলিশ ও ড্রাগ কন্ট্রোল ব্যুরোর যৌথ অভিযান