বিজেপির পার্টি অফিস পাহারায় নামল কেন্দ্রীয় বাহিনী! টিপ্পনী তৃণমূলের

বিজেপি (BJP)-র বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক শ‌্যামল রায়ের কথায়, "কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের খবর অনুযায়ী বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ব্যবস্থা করেছেন।''

বিজেপির পার্টি অফিস পাহারায় নামল কেন্দ্রীয় বাহিনী! টিপ্পনী তৃণমূলের
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: May 10, 2021 | 7:23 PM

পূর্ব বর্ধমান: একুশের ভোটের ফল ঘোষণার পর গোটা রাজ্যের মতো পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও বিজেপি (BJP) নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। হামলা হয়েছে বিজেপির একাধিক দলীয় অফিসে। অস্থায়ী অফিস ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সবমিলিয়ে এখন আতঙ্কে গেরুয়া শিবির। এই অবস্থায় বিজেপির জেলা অফিস সহ বিভিন্ন বড় শাখা অফিসগুলির নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী! পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে বিজেপির ওপর হামলার ঘটনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসাবে বিজেপির জেলা অফিস এবং শাখা অফিসগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হল বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক শ‌্যামল রায়ের কথায়, “কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের খবর অনুযায়ী বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই ব্যবস্থা করেছেন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, এখন থেকে বর্ধমান জেলা অফিসে ১২ জনের সশস্ত্র সিআরপিএফের একটি দল ২৪ ঘণ্টা পাহারা দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পার্টি অফিসে কারা কারা ঢুকছেন তার উপর রয়েছে তাঁদের কড়া দৃষ্টি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তবেই কর্মী, সমর্থক ও অন্যান্যদের পার্টি অফিসে ঢুকতে দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।

তবে শুধু জেলা বিজেপি পার্টি অফিসই নয়, বর্ধমান শহরের টাউন হল, পাড়ার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) জেলা কার্যালয় ‘মধুকর ভবন’ও এখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার চাদরে মোড়া। এই ভবনে থাকা আবাসিকদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুমতি নিতে হবে। তাঁরা অনুমতি দিলে তবেই মিলবে প্রবেশের ছাড়পত্র।

মধুকর ভবনে থাকা আরএসএসের সহ-বিভাগ প্রচারক সৃজন কুমার হাজরা বলেন, “চারদিকে যে রকম অশান্তি চলছে তার জন্য আশঙ্কায় ছিলাম আমাদের ভবনেও হামলা হতে পারে। তাই এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।” যদিও তাঁর আশঙ্কা অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি বলে জানান সৃজন হাজরা।

বিজেপির বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা কমিটির সম্পাদক শ্যামল রায় অবশ্য জানিয়েছেন, জেলা পুলিশ তথা রাজ্য পুলিশের ওপর তাঁদের ভরসা আছে। তাঁরাও নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। কিন্তু যেহেতু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার বিষয়টি একেবারেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বিষয় তাই তাঁরা এব্যাপারে কিছু বলত পারবেন না।

আরও পড়ুন: ইন্ডাস্ট্রিয়াল অক্সিজেনই আজ ভরসা শিল্পাঞ্চলের করোনা রোগীদের, অমিল সিলিন্ডার 

এদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল (TMC)। একে হাস্যকর বিষয় কটাক্ষ তৃণমূলের। তাদের আরও দাবি, কোনও ভবনেই কোনওরকম হামলা চালায়নি তৃণমূল। কোনও অশান্তিতে তারা যুক্ত নয়।