Birbhum: এলাকা দখলের লড়াইয়ে তপ্ত পাড়ুই, মুড়ি-মুড়কির মতো পড়ল বোমা!
Birbhum: গ্রামের বেশ কিছু বাড়ির ভিতরেও চলেছে তাণ্ডব। বাড়ির ভিতর ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে এসেছে। ঘটনায় দুই পক্ষেরই ১০-১২ জন জখম হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বোলপুর মহকুমার হাসপাতালে।
বোলপুর: এলাকার দখল থাকবে কাদের হাতে? তাই নিয়েই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। মুড়ি-মুড়কির মতো পড়ল বোমা। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বোলপুরের পাড়ুই থানার অন্তর্গত বিষ্ণুখণ্ডা গ্রামে। এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারামারি ও ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ। গ্রামের বেশ কিছু বাড়ির ভিতরেও চলেছে তাণ্ডব। বাড়ির ভিতর ঢুকে জিনিসপত্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে এসেছে। ঘটনায় দুই পক্ষেরই ১০-১২ জন জখম হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বোলপুর মহকুমার হাসপাতালে।
অশান্তির খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পাড়ুই থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গোটা গ্রাম জুড়ে চলছে পুলিশি টহলদারি। আচমকা এই বোমাবাজি ও মারধরের অভিযোগ ঘিরে এলাকায় আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। বর্তমানে পুলিশকর্মীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গ্রামে টহল দিলেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে এখনও। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবারও উঠে আসছে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠী সংঘর্ষের’ তত্ত্ব। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিনের ঝামেলার দুই পক্ষই তৃণমূলের সমর্থক। এক পক্ষ অনেক আগে থেকেই তৃণমূল করে। আরেক পক্ষ সদস্য বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে এসেছে বলে অভিযোগ গ্রামের মহিলাদের একাংশের।
মঙ্গলবারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও, পাড়ুইয়ের এই গোলমাল নিয়ে শাসক শিবিরকে বিঁধতে শুরু করেছে বিজেপি শিবির। বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘এটা নতুন কিছু নয়। গণতন্ত্রে যখন বিরোধীদের জায়গা দেওয়া হবে না, তখন নিজেদের মধ্যেই মারামারি হবে। সেটাই হচ্ছে।’