Mamata-Anubrata: কেষ্ট গড়ে গিয়েও মমতার মুখে একবার শোনা গেল না কেষ্টর নাম! বিস্ময় বাড়ছে রাজনীতির পাড়ায়, তবে কি নতুন কৌশল?
Mamata-Anubrata: সোমবার রাত থেকে সোজা দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে বীরভূমে কার্যত বীরের সম্মান নিয়েই ফিরেছেন অনুব্রত। নেপথ্যে দলের কর্মী-সমর্থকেরাই। কিন্তু তারপরেও তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখ থেকে কেষ্ট নাম বের হল না একবারও।
বীরভূম: সুকৌশলে অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? বীরভূম জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এদিনই প্রায় দু’বছর পর দিল্লির তিহাড় জেল থেকে বাড়ি ফিরেলন বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু, অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মমতা। কিন্তু মঞ্চ উঠেও একটি বারের জন্যও মুখে আনলেন না কেষ্টর নাম। এদিকে এই মমতাই অনুব্রতর জেলা যাত্রার প্রকাশ্যেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে চড়িয়েছিলেন সুর। এমনকী কেষ্ট বাড়ি ফেরার দিন মমতা আগমনের পরও ‘দিদির’ সঙ্গে অনুব্রতর দেখা হয় কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ছিল টানটান উত্তেজনা। কী বার্তা দেন তা দেখতেও মুখিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল জেল হেফাজতে থাকাকালীন দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে একাধিকবার নানা বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে মমতাকে। তোপ দেগেছিলেন কেন্দ্রকে। সাফ বলেছিলেন, “কেন কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে, পঞ্চায়েত ভোট আসছে বলে? তাহলে পঞ্চায়েত ভোট পর্যন্ত বা লোকসভা ভোট, ওরা অনেককে গ্রেফতার করবে। যাতে ভোট যেভাবেই হোক দখলে নিতে পারে। এটাই ওরা করে। ওদের অভ্যাস।” যা নিয়ে বিস্তর চর্চাও হয়। এমনকী অনুব্রত জেল থেকে বেরোলে তাঁকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনার কথাও বলেছিলেন। রামপুরহাটে অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে কেষ্টকে তো আবার ‘বাঘ’ এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম।
সোমবার রাত থেকে সোজা দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে বীরভূমে কার্যত বীরের সম্মান নিয়েই ফিরেছেন অনুব্রত। নেপথ্যে দলের কর্মী-সমর্থকেরাই। কিন্তু তারপরেও তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখ থেকে কেষ্ট নাম বের হল না একবারও। কিন্তু, কলকাতা থেকে বীরভূমে বাড়ি ফেরার পথে একাধিকবার কেষ্টর মুখে কিন্তু শোনা গিয়েছে মমতার নাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বুঝে কী সাবধানে পা ফেলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? অনুব্রত যে প্রভাবশালী তাঁকে কোর্টে একাধিকবার দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনুব্রতর জামিনের বিরোধীতায় বারবার এটাই থেকে মূল যুক্তি। সে কারণেই কী প্রভাবশালী তকমা যাতে ফের অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রাস না করে তাই সচেতনভাবে বিষয়টিকে এড়িয়ে গেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো? প্রশ্ন ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে।