Anubrata-Kajal: বাঘরূপী কেষ্ট, সিংহরূপী কাজলের গর্জনে কাঁপছে বীরভূম, দল ‘দ্বন্দ্ব’ ভুলতে বললেও অনুগামীদের থামাবে কে!
Anubrata-Kajal: AI-এর মাধ্যমে বানানো হয়েছে আস্ত রয়েল বেঙ্গল টাইগার জড়িয়ে ধরছে অনুব্রত মণ্ডলকে। পাল্টা কাজল শেখের অনুগামীরা বানিয়েছেন সিংহ এসে জড়িয়ে ধরছে কাজল শেখকে। পাল্টা যুক্তিও দিচ্ছেন দুই পক্ষ।

সিউড়ি: কয়েকদিন আগেই একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, কাজল শেখ। সেখানে তাঁদের আলাদা করে ডেকে সতর্ক করতে দেখা গিয়েছিল ফিরহাদ হাকিমদের। লাস্ট ওয়ার্নিংও দেওয়া হয় কেষ্টকে। তা নিয়ে চাপানউচোর যখন পুরোদমে ঠিক তখনই নতুন লড়াই শুরু বীরভূমের অন্দরে। অনুব্রত মণ্ডল ও কাজল শেখকে দল যখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিচ্ছে ঠিক তখনই তাঁদের বাঘ সিংহ বানিয়ে AI লড়াই শুরু করে দিল অনুগামীরা। AI এর হাতে তৈরি বাঘ রূপী অনুব্রত ও সিংহরূপী কাজল শেখই এখন ঝড় তুলেছে বীরভূমে।
AI-এর মাধ্যমে বানানো হয়েছে আস্ত রয়েল বেঙ্গল টাইগার জড়িয়ে ধরছে অনুব্রত মণ্ডলকে। পাল্টা কাজল শেখের অনুগামীরা বানিয়েছেন সিংহ এসে জড়িয়ে ধরছে কাজল শেখকে। পাল্টা যুক্তিও দিচ্ছেন দুই পক্ষ। কেউ বলছেন আমার দাদা বাঘ তো কেউ বলছেন আমার দাদা সিংহ। কিন্তু, ছাব্বিশের ভোটের আগে এই লড়াই কতটা যুক্তিযুক্ত হবে সেই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে দল বার্তা দেওয়ার পর কিছুটা হলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন অনুব্রত-কাজল। কিন্তু অনুগামীদের আটকাবে কে? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
কাজল শেখের অনুগামী মীর রাজ বলছেন, “কাজল শেখ যেভাবে উন্নয়নের কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, যেভাবে বিরোধীদের কাউন্টার করছেন, তিনি যেভাবে সিংহের মতো গর্জন করেন তাতে আমরা খুবই খুশি। উনি সত্যিই আমাদের কাছে সিংহ।” অন্যদিকে অনুব্রতর ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন আমিনুল ইসলাম। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। তিনি বলছেন, “গোটা বীরভূমের মানুষ আমাদের কেষ্টদাকে বাঘ মনে করে। দাদাকে মানুষ ভালবেসে তাঁকে বাঘের অ্যাখ্যা দিয়েছে।”
