Nanur: অনুব্রতর জেল মুক্তির জন্য মাজারে চড়াতে গিয়েছিলেন চাদর, এলাকায় ঢুকতেই তৃণমূল কর্মীদের মারলেন তৃণমূলীরাই
Nanur: অভিযোগ, নানুরের নওনগর-কড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের নবস্থা,পুরন্দরপুর,ছাতিমগ্রাম এলাকার অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা পাথরচাপরির মাজারে চাদর চড়াতে গিয়েছিলেন। তারপর গ্রামে ফিরতেই তাদের বেধড়ক মারধর করা হয় ৷
নানুর: আবার উত্তপ্ত বীরভূম। অনুব্রত-কাজল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত নানুর। অনুব্রত মণ্ডলের জেল মুক্তির কামনায় মাজারে চাদর চড়াতে যাওয়ায় বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। অভিযোগের তীর বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখের লোকজনের বিরুদ্ধে। রীতিমতো বাইক বাহিনী নানুরের গ্রামে গ্রামে তাণ্ডব,মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখায়,ঘর বাড়ি লুটপাট করে। এই মর্মে নানুর থানায় ও বোলপুরের এসডিপিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ করেন অনুব্রত অনুগামীরা।
বর্তমানে গরুপাচার-কাণ্ডে তিহারে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর জেল যাত্রার পর তাঁরই একদা যুযুধান নানুরের যুবনেতা ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ ভোটে জিতে বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন বলে কানাঘুষো শোনা যায়৷ বর্তমানে তিনি দলের জেলা কোর কমিটির সদস্য৷
অভিযোগ, নানুরের নওনগর-কড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের নবস্থা,পুরন্দরপুর,ছাতিমগ্রাম এলাকার অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা পাথরচাপরির মাজারে চাদর চড়াতে গিয়েছিলেন। তারপর গ্রামে ফিরতেই তাদের বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ কাজল শেখের অনুগামীরা গ্রামে গ্রামে বাইক নিয়ে তাণ্ডব চালায়, মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখায়, ঘর-বাড়ি ভাঙচুর করে ৷ এই মর্মে নানুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন অনুব্রত অনুগামীরা। পরে এদিন,বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের কাছেও লিখিত অভিযোগ করা হয় ৷ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে আতঙ্কে ঘুম ছুটেছে অনুব্রত অনুগামীদের, এমনটাই জানান তারা৷ আরও অভিযোগ, নানুর থানায় অভিযোগ করেও কোনও ফল হচ্ছে না ৷ পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না৷ যদিও, এই ঘটনায় কোন মন্তব্য করতে চাননি বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। মহম্মদ হাসু বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল আর ওনার মেয়ে বিনা কারণে জেলে। সেই কারণে চাদর চড়াতে গিয়েছিলাম। এরপর শনিবার থেকে আমাদের উপর কাজলের অনুগামীরা টর্চার শুরু করেছে। আমাদের অপরাধ কেষ্টদাকে ভালবাসি।”