AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Birbhum Police: ডেপুটি পুলিশ সুপারকেই ‘ক্রিমিনাল’ বলে বসলেন ASI, ভাইরাল অডিয়োতে বিস্ফোরক অভিযোগ

Birbhum: খোদ উচ্চপদস্থ অফিসারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ জেলারই আর এক পুলিশ অফিসারের। এমনকী ক্রিমিনাল পর্যন্ত বলতে ছাড়লেন না তিনি। "পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ সামনে আসছে, তা সত্যি।" এমনটাই বলছেন বিরোধীরা।

| Edited By: | Updated on: Nov 29, 2025 | 9:40 AM
Share

বীরভূম: কথায় কথায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। সৌগত রায়ের মতো শাসক দলের নেতাও পুলিশের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন। আর এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ খোদ পুলিশেরই। ‘পুলিশের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিরোধীরা। বীরভূমের সিউড়ি থানার এএসআই রাজকুমার দাসের অডিয়ো ঘিরে তোলপাড় জেলা। পুলিশের উচ্চপদস্থ অফিসারের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্য়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

এএসআই রাজকুমার দাস তাঁর ফেসবুকে একটি অডিয়ো পোস্ট করেছেন। সেখানে সরাসরি বীরভূমের ডেপুটি পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কথা বলতে শোনা যাচ্ছে তাঁকে। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই অডিয়ো। সেখানে তিনি বলছেন, “আমাদের ট্রান্সফার করে আমাদের সর্বনাশ করে ডিএসপি আসলে এসপি সাহেবের কাছে ভাল থাকছেন। ডিএসপি-র র মতো আর কোনও ক্রিমিনাল নেই। যদি প্রমাণ চান, তাহলে আমি সব প্রমাণ দিয়ে দেব।”

ওই এএসআই-এর দাবি, ডিএসপি পুলিশ সুপারকে ভুল বুঝিয়েছেন। রাজকুমারের আরও অভিযোগ, যেদিন শতাব্দী রায় জুতো খেয়েছিলেন, সেদিন ডিএসপি ছিলেন। তিনি আরও বলেন, “পুরো দোষ ওঁর। যদি কারও পানিশমেন্ট হওয়ার কথা থাকে, তাহলে সেটা একমাত্র ডিএসপি-র, আর কারও নয়।”

সপ্তাহ খানেক আগে এসআইআর ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন সাংসদ শতাব্দী রায়। তৃণমূল সাংসদের সামনেই হঠাৎ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদির উপর হামলা হয়। অঞ্চল সভাপতির ভাইকে চড়, থাপ্পড়, ঘুষি, লাথি মারা হয়। আক্রান্ত নেতাকে বাঁচাতে গেলে, তৃণমূল সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে উড়ে আসে জুতো।

বিজেপির দাবি, ডিএসপি কুণাল মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যা অভিযোগ উঠছে, তা সত্যি। বীরভূম সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সহ সভাপতি দীপক দাস বলেন, “শতাব্দী রায়ের গাড়িতে যেভাবে জুতো মারা হয়েছে, সেটা কোনও ভাবেই সমর্থনযোগ্য় নয়। এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে ঘটেছিল। রাজকুমার দাস যেটা বলেছিল, সেটা খুব একটা ভুল নয়। পুলিশের নোংরামি কোনওভাবেই বরদাস্ত করা উচিত নয়। ক্রিমিনাল কি না বলতে পারব না, তবে কুণাল মুখোপাধ্যায়ের যে মদত ছিল, তা অস্বীকার করা যায় না।”