Bagtui Massacre: ‘সিবিআই-এর কাছে নাম বলে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয়’, এবার মিহিলালের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক গ্রামবাসী
Bagtui Massacre: মিহিলালের বাড়ির দুটো বাড়ির পরেই রোশনারা বিবির বাড়ি। মাঝের ব্যবধান কয়েক ফুটের রাস্তা। ওই বাড়ি থেকেই কোণাকুণি দেখা যায় মিহিলালের বাড়ি।
বীরভূম: বগটুই তদন্তে নয়া অভিযোগ উঠে আসছে। ঘটনার মূল সাক্ষী মিহিলাল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিবেশী রোশেনারা বিবির। তাঁর বক্তব্য, ছেলেকে এই ঘটনায় মিথ্যা ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন মিহিলাল। পাশাপাশি রাতে তাঁর বাড়িতেও আগুন লাগানোর আশঙ্কা করছেন তিনি। অভিযোগ ঘিরে নয়া চাঞ্চল্য বগটুইতে। রোশেনারা বিবির কথায়, “ও ভয় দেখাচ্ছে না, সোজাসুজি বলছে, যেটা আমার ছেলেকে ও শিখিয়ে দিয়েছে, সেটা যদি না বলে, তাহলে আমি ওকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেব। ওকে বাড়িতে ঢুকে ধাক্কা দিচ্ছিল। তারপর আমার ছেলেকে বলল, বলবি তো পুলিশকে? ও বলল হ্যাঁ। তারপর পুলিশকে কী বলেছে আমি জানি না।” তবে তিনি এটাও বলেছেন, “ওরা বাড়িতে আগুন লাগাবে, সেটা বলেনি। তবে আমরা ভয় পাচ্ছি। আমাদের পাশেই তো এমন ঘটনা ঘটল, তাহলে তো আমাকেও পুড়িয়ে মেরে দিতে পারে।”
মিহিলালের বাড়ির দুটো বাড়ির পরেই রোশনারা বিবির বাড়ি। মাঝের ব্যবধান কয়েক ফুটের রাস্তা। ওই বাড়ি থেকেই কোণাকুণি দেখা যায় মিহিলালের বাড়ি। সুতরাং ওই রাতে রোশনারা বিবিরাও ঘটনা দেখে থাকতে পারেন। সেই সম্ভাবনা প্রবল। সেক্ষেত্রে তিনি কিংবা তাঁর ছেলের বয়ানও তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তাঁদেরকে তদন্তকারীরা প্রশ্ন করলে, কী উত্তর তাঁরা দেবেন, সেটা বিচার্য। রোশনারা বিবির অভিযোগ, মিহিলাল নাকি বাড়িতে ঢুকে তাঁর ছেলেকে শিখিয়ে যাচ্ছেন কী বলতে হবে। এ বিষয়ে অবশ্য মিহিলালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বগটুই হত্যাকাণ্ডে শেখলাল এবং মিহিলাল শেখের বয়ান ইতিমধ্যেই রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি বগটুই কাণ্ড দুই গ্রামবাসীরও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। খোঁজ মিলেছে দুই টোটোর। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই দুটি টোটোতেই বিস্ফোরক,দাহ্য পদার্থ নিয়ে আসা হয়েছিল।
রবিবারই কুমাড্ডা গ্রামে গিয়ে ওই টোটোর ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি খোঁজ মিলেছে একটি বাইকেরও। তদন্তে একটি তথ্য প্রথমেই উঠে এসেছে। এই ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্ত রানা শেখ ও তার বাবা মিঠুন শেখের টোটো করেই দাহ্য পদার্থ ওই রাতে মিহিলালের বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, উদ্ধার হওয়া টোটো দুটিই তাদের। কিন্তু এই বিষয়টি এখনও তদন্তসাপেক্ষ।