Bolpur Mahakuma Hospital: সিবিআই-এর নোটিস পেয়েই তড়িঘড়ি ছুটিতে গেলেন অনুব্রতর বোলপুরের চিকিৎসক
Bolpur Mahakuma Hospital: সুপারের আবার প্রথম থেকে বক্তব্য ছিল, জেলাশাসকের তরফ থেকে নির্দেশ এসেছিল। সেই মোতাবেক অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক দল পাঠিয়েছেন তিনি।
বীরভূম: কেন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে চিকিত্সা? সিবিআই-এর নোটিসের পরই তড়িঘড়ি ৭ দিনের ছুটিতে গেলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারী। সূত্রের খবর, আরও ২ দিন ছুটি বাড়িয়েছেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। এসএসকেএম থেকে খালি হাতে ফিরে জেলা হাসপাতালের চিকিত্সকদের ঢাল করতে চেয়েছিলেন বীরভূমের দাপুটে নেতা। অনুব্রতকে বেড রেস্টের পরামর্শ থেকে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন- চিকিত্সক চন্দ্রনাথের মন্তব্যে আগুনে আরও ঘি পড়ে। কাঠগড়ায় ওঠেন সুপারও।
চন্দ্রনাথ অধিকারী প্রথম থেকেই দাবি করে আসছিলেন, “আমি এক জন জেনারেল সার্জন ও একজন সরকারি কর্মচারী। আমি আমার ঊর্ধবতন কর্তৃপক্ষ বোলপুর সিয়ান সাব ডিভিশন হাসপাতালে সুপারিনটেনডেন্টের অর্ডার মানতে বাধ্য। ফলে আমাকে সুপার যা বলেছেন, সেই অনুসারে কাজ করেছি। আমি সুপারকে বলেছিলাম, ওঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু ওঁ বলেছিলেন হাসপাতালে আনার দরকার নেই। বাড়িতে যান।”
সুপারের আবার প্রথম থেকে বক্তব্য ছিল, জেলাশাসকের তরফ থেকে নির্দেশ এসেছিল। সেই মোতাবেক অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক দল পাঠিয়েছেন তিনি। এদিকে, জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে সরকারি ভাবে কোনও বক্তব্য না পাওয়া গেলেও, এক আধিকারিক বলেই দেন, ‘জেলা প্রশাসনকে এর সঙ্গে জড়াবেন না।’ অন্যদিকে, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বক্তব্য ছিল, “এই ভাবে চিকিৎসক দল কারোর বাড়িতে পাঠাতে গেলে অনুমতি নিতে হয়। এক্ষেত্রে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।”
ছুটিতে থেকেও কেন এমন নির্দেশ পাঠালেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু? নেপথ্যে কি অন্য কারও হাত? এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতে, সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু ও চিকিত্সক চন্দ্রনাথ অধিকারীকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যাবতীয় ধোঁয়াশা কাটাতে চাইছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।