Birbhum Blast : পঞ্চায়েতের আগেই কাঁপছে বীরভূম, তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, জখম দুই

Birbhum Blast : পাড়ুই থানা এলাকার ভেরামারি গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে মজুত থাকা বোমা থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে।

Birbhum Blast : পঞ্চায়েতের আগেই কাঁপছে বীরভূম, তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, জখম দুই
বীরভূমে বিস্ফোরণ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 03, 2023 | 10:54 PM

বীরভূম : একদিন আগেই সুন্দরবন পুলিশ জেলায় প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। ফাঁকা মাঠে পড়ে থাকা প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর তাজা বোমা। এরইমধ্যে শুক্রবার বড়সড় বোমা বিস্ফোরণ হয়ে গেল বীরভূমে (Birbhum)। যেখানে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়েছে সেটি আবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) বুথ সভাপতির বাড়ি বলে জানতে পারা যাচ্ছে। ঘটনায় দুজন গুরতরভাবে জখম হয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। পাড়ুই থানা এলাকার ভেরামারি গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে মজুত থাকা বোমা থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। তাঁর বাড়ির বাথরুমে বোমাগুলি মজুত করা ছিল বলে খবর। 

বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে যায় বাথরুমটি। পাশের একটি পাকা বাড়িও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে পাড়ুই থানার পুলিশ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “সন্দেহ আগে থেকে ছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে রক্তাক্ত করার জন্য চক্রান্ত চলছে। আগেই ভয় দেখিয়ে বিরোধীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টাও চলছে। নাহলে প্রতিটি জেলায় থানায় থানায় এ ঘটনা ঘটত না। পুলিশের কোনও অ্যাক্টিভিটি আমরা দেখছি না। পুলিশ মন্ত্রীর কোনও বক্তব্যও দেখতে পাওয়া যায়নি। প্রতিটা ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ না কেউ জড়িত। আমার মনে হয় সরকারের ইচ্ছাতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। নাহলে আগেই বন্ধ হয়ে যেত।” যদিও তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের দাবি, গোটা রাজ্যেই দুষ্কৃতীদের ধরতে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ। তবে এ ক্ষেত্রে কী ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। 

শান্তনু সেন বলেন, “এটা তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়। তদন্ত করে দেখা হোক। আমাদের সরকার, আমাদের পুলিশ-প্রশাসন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করছে।” এর পরেই বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি বিজেপির নেতারা ঘুরে তাঁদের ক্যাডারদের উজ্জীবিত করছে সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করার জন্য। শুধু তাই নয়, দিলীপ ঘোষ থেকে শুভেন্দু অধিকারী, লকেট চট্টোপাধ্যায় থেকে সুকান্ত মজুমদার সবাইকেই ঘুরে ঘুরে বলতে শুনছি বোমা মারো, গুলি করো, বুকে পা দিয়ে দাও, পেটে পা দিয়ে দাও। বিভিন্ন সময় বিজেপি নেতারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে অস্ত্রও মজুত করছে। সুতরাং সেই সম্ভাবনাও এক্ষেত্রে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”