Express Train : চলছিল ঝগড়া, চোখের সামনেই চলন্ত ট্রেন থেকে জলজ্যান্ত ছেলেটাকে ধাক্কা মারল মদ্যপরা

Express Train : অভিযোগ, বচসার সময় আচমকা ঈদেলকে ট্রেন (Train) থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় সাময়িকভাবে হতবাক হয়ে যান ঈদেলের শ্যালক।

Express Train : চলছিল ঝগড়া, চোখের সামনেই চলন্ত ট্রেন থেকে জলজ্যান্ত ছেলেটাকে ধাক্কা মারল মদ্যপরা
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2023 | 4:13 PM

রামপুরহাট : কখনও বসার আসন নিয়ে, কখনও অন্য়ান্য একাধিক কারণে ট্রেনের (Train) সহযাত্রীর মধ্যে বচসা খুবই চেনা ছবি। রোজই প্রচুর অভিযোগও জমা পড়ে রেল পুলিশের (Rail Police) খাতায়। কিন্তু, তাই বলে একেবারে ধাক্কা দিয়ে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হল সহযাত্রীকে! শুনতে অবাক লাগলেও এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ১৫৯২৯ আপ চেন্নাই-গুয়াহাটি তিনসুকিয়া এক্সপ্রেসে। বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানার দাদপুর গ্রামের বাসিন্দা ঈদেল শেখ পেশায় রাজমিস্ত্রি। থাকতেন চেন্নাইয়ে। এদিন চেন্নাই থেকে ফিরছিলেন তাঁর অন্যান্য সঙ্গীদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ট্রেনের যে কামরায় তাঁরা ছিলেন সেই কামরাতেই ছিলেন অসমের যাত্রীদের একটি দলও। ট্রেনে আসার পথে ভাত খেতে বসেছিলেন ঈদেল শেখ (২৫)। তখনই ভাত খাওয়া নিয়ে বচসা শুরু হয় অসমের যাত্রীদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, ট্রেনে ঈদেলের সঙ্গে ছিলেন তাঁর শ্যালক। গোটা ঘটনাই ঘটে তাঁর চোখের সামনে। এমনকী যাঁদের বিরুদ্ধে এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে তাঁরা চলন্ত ট্রেনে মদ্যপানও করছিলেন বলে অভিযোগ। 

অভিযোগ, বচসার সময় আচমকা ঈদেলকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার আকস্মিকতায় সাময়িকভাবে হতবাক হয়ে যান ঈদেলের শ্যালক নেকবর শেখ। হতভম্ভ ভাব কাটতেই খবর দেন রেল পুলিশ। ইতিমধ্যেই রেল পুলিশ অসমের ২ বাসিন্দাকে আটক করেছে রামপুরহাট স্টেশন থেকে। তবে যাত্রাপথে কোন স্টেশনে ঈদেলকে ফেলে দেওয়া হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তদন্ত শুরু করেছে আরপিএফ। খোঁজ চলছে ঈদেলেরও। ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত ব্যক্তির এক আত্মীয় বলেন, “আমার ভাই আমাকে ট্রেন থেকে ফোন করে। ও জানায় আমার ভগ্নিপতি ঈদেলকে মেরে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরপরই আমরা ছুটে আসি স্টেশনে। জিআরপিকে জানাই ঘটনার কথা। তাঁরা ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে আটক করেছে। ঈদেলের খোঁজ মেলেনি। আমরা ওকে ফেরত চাই।” 

আক্রান্ত যুবকের শ্যালক নেকবর শেখ বলেন, “আমরা চেন্নাইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করি। সেখান থেকেই ফিরছিলাম। ট্রেনে ভাত খাওয়া নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় আমার জামাইবাবুর সঙ্গে। জামাইবাবুকে গালাগালিও করে। মারধর করে। টেনে গেটের কাছে নিয়ে যায়। তারপরই আর জামাইবাবুকে দেখতে পাওয়া যায়নি। ওরাই ফেলে দিয়েছে। ওরা টেনে মদও খাচ্ছিল। যখন ঘটনাটা ঘটে তখন ট্রেনটা তখন ওড়িশার কাছে কোনও এক জায়গায় ছিল বলে মনে হয়। এ ঘটনা ঘটনার পরেই আমি বাড়িতে জানাই। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।”