Primary Teacher: মালা রায়কে DA নিয়ে প্রশ্ন করার পরই শো-কজ? প্রধান শিক্ষকের পক্ষে সরব হলেন বিরোধীরা
Primary Teacher: বৃহস্পতিবার 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচিতে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে স্থানীয় জেনাডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।
বাঁকুড়া: স্কুল পরিদর্শনকালে তৃণমূল সাংসদ মালা রায়কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ কবে? ডিএ নিয়ে সরকারের কী অবস্থান? ঘটনার পরের দিনই মিড ডে মিল সহ বিভিন্ন অভিযোগে কারণ দর্শাতে হয়েছে বাঁকুড়ার প্রাথমিক স্কুলের সেই শিক্ষককে। অভিযোগ, সাংসদকে জিজ্ঞাসা করার জেরেই শাসক দলের কোপে পড়তে হয়েছে ওই শিক্ষককে। বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা। ওই শিক্ষকের দাবি, তাঁর ২০ বছরের চাকরি জীবনে এমনটা কখনও ঘটেনি। বিরোধী সংগঠন করেন বলেই তাঁর সঙ্গে এরকম ব্যবহার করা হল? সেই প্রশ্নই তুলেছেন ওই শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিতে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে স্থানীয় জেনাডিহি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি। স্কুলে পৌঁছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাক্ষীগোপাল মণ্ডলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেই সময় ওই প্রধান শিক্ষক মালা রায়কে জিজ্ঞাসা করে বসেন, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারের কী অবস্থান? বিষয়টি ‘বিচারাধীন’ বলে এড়িয়ে যান মালা রায়।
এরপর মালা রায় ওই স্কুলের মিড ডে মিলের মান, শিক্ষকদের উপস্থিতি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় ও পঠন পাঠনের মান নিয়ে অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ, স্কুল থেকেই স্থানীয় তৃণমূল ব্লক সভাপতি নিমাই মাজি টেলিফোনে জনৈক আধিকারিককে নির্দেশ দেন ওই প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে শো কজ করার। মিড ডে মিলে গরমিল, ছাত্র সংখ্যা কমে যাওয়া, স্কুলের পরিকাঠামো যথাযথ ব্যবহার না করা, শিক্ষকদের উপস্থিতি অনিয়মিত থাকার বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয় প্রধান শিক্ষককে।
শুক্রবার বাঁকুড়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে হাজির হয়ে ওই শিক্ষক শোকজের উত্তর দেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি ও জেলা প্রাথমিক স্কুলের পরিদর্শকের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি। শিক্ষকের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। মালা রায়কে অপ্রিয় প্রশ্ন করাতেই তাঁকে এই ধরনের কোপে পড়তে হল বলে মনে করছেন তিনি। ২০ বছরের শিক্ষক জীবনে কখনও এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিরোধী শিক্ষক সংগঠন এবিপিটিএ নেতৃত্বের দাবি, এই ভাবে শিক্ষকদের হেনস্থা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। শিক্ষককে হৃত সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে শুক্রবার গঙ্গাজলঘাটি বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। স্কুল শিক্ষা দফতর ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ জানিয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অতীতেও অভিযোগ এসেছিল। তাঁকে সতর্কও করা হয়েছিল। ফের অভিযোগ আসায় ওই শিক্ষককে ডেকে ফের সতর্ক করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বিরোধীরা কুৎসা করছে। বিরোধীরা কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।