Loksabha Election: বীরভূমে শতাব্দীর বিরুদ্ধে বিজেপির ‘দুই প্রার্থী’? দেবাশিসের পাশাপাশি মনোনয়ন আরও এক নেতার
Birbhum: দেবতনুকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়। দেবতনু বলেন, "বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিলাম। এটা দলের সিদ্ধান্ত, আমরা দলের সৈনিক। দল যেমন বলেছে, তেমনই করেছি। দল বললে প্রচারেও নামব। দল বলেছে, বীরভূম থেকে আমাকে নমিনেশন ফাইল করতে হবে, আমি করে দিয়েছি।"
বীরভূম: বাংলার ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র। ২০২৪-এর ভোটে ৪২টির মধ্যে অন্যতম তাৎপর্যপূর্ণ কেন্দ্র হল বীরভূম। অনুব্রত মণ্ডল-হীন বীরভূমে তৃণমূল এবার তাঁদের মাটি ধরে রাখতে পারে কি না তা যেমন একদিকে সকলের নজরে। অন্যদিকে বিজেপি কোনও নতুন মোড় দিতে পারে কি না সেদিকেও নজর সকলের। এরইমধ্যে বীরভূম কেন্দ্রে বিজেপি দুই প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করল। প্রশ্ন উঠছে, কোনও আগাম আভাস পেয়ে কি এক কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করল বিজেপি?
বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে ইতিমধ্যেই বিজেপির প্রার্থী হিসাবে প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরের নাম ঘোষণা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এরইমধ্যে বৃহস্পতিবার বীরভূম জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে দেখা গেল বিজেপি নেতা দেবতনু ভট্টাচার্যকে। দেবতনু রাঢ় বঙ্গের বিজেপি কো-কনভেনর।
দেবতনুকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়। দেবতনু বলেন, “বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিলাম। এটা দলের সিদ্ধান্ত, আমরা দলের সৈনিক। দল যেমন বলেছে, তেমনই করেছি। দল বললে প্রচারেও নামব। দল বলেছে, বীরভূম থেকে আমাকে নমিনেশন ফাইল করতে হবে, আমি করে দিয়েছি।”
কিন্তু কেন বিকল্প প্রার্থীর প্রয়োজন পড়ল বিজেপির? জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, “নানা কলকাঠি তো ওদিক থেকে নাড়ার চেষ্টা করা হয়। কারও কোনও কলকাঠি আমরা সফল হতে দেবো না। বীরভূম লোকসভা আসন বিজেপিই জিতবে। দেবাশিস ধরই আমাদের প্রার্থী। আমরা তাও একজন বিকল্প প্রার্থী দিয়ে রাখলাম। বিভিন্ন আসনের ক্ষেত্রে বিজেপি নানা কৌশল নেয়। এখানেও একটা কৌশল নেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে এদিনও ভোটপ্রচারে দেখা গিয়েছে দেবাশিস ধরকে। তিনিও বলছেন, এটা দলগত কৌশল। কিন্তু আচমকা এমন কৌশল নিতে হল, কোনও বিশেষ কারণ নেপথ্যে?, প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, গত ২৩ তারিখ বীরভূমের হাসন এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী জনসভা থেকে মন্তব্য করেন, প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধরকে এখনও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও ক্লিয়ারেন্স দেওয়া হয়নি। এই আবহে বিজেপির আরও এক প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।