রামপুরহাট : সিবিআই-এর গোয়েন্দাদের প্রশ্নের মুখে দিশেহারা পুলিশ। ভাদু শেখের খুনের তদন্তে নেমে মঙ্গলবার অকুস্থলে সিএফএসএলের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পৌঁছান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেখান থেকে ভাদু শেখের বাড়িতে যান গোয়েন্দারা। এরপর রামপুরহাট থানায় যান তাঁরা। সেখানেই রাখা ছিল মৃত ভাদু শেখের স্কুটি। কেন স্কুটির কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই, তা নিয়ে পুলিশকে প্রশ্ন করেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কেন স্কুটি থেকে নমুনা সংগ্রহ না করেই অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে? এই নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। স্কুটি উদ্ধারের সময় চাবি ছিল কি না, পুলিশকে প্রশ্ন করেন সিবিআই আধিকারিকরা। সিবিআইয়ের একের পর এক প্রশ্নের মুখে দিশেহারা হয়ে যান রামপুরহাট থানার পুলিশ। এ দিন ঘটনাস্থল থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
বগটুইয়ের ঘটনায় এবার তদন্তের জাল গোটাতে শুরু করেছেন সিবিআই অফিসাররা। উল্লেখ্য, বগটুইয়ের অগ্নিসংযোগ এবং তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন – উভয় ঘটনারই তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। প্রথমে সিবিআই অফিসাররা বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছিলেন। কিন্তু তখনও ভাদু শেখের খুনের তদন্তভার ছিল রাজ্য পুলিশের হাতেই। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, যেহেতু দুটি ঘটনা একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই দুটি ঘটনার তদন্তই করবেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সেই ঘটনার পর থেকে রামপুরহাটের উভয় ঘটনারই তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা।
সম্প্রতি ভাদু শেখের লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে এসেছে। চিঠিটি তিনি লিখেছেন রামপুরহাটের এসডিপিওকে। সেই চিঠিতে ভাদু শেখ স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন, তাঁর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তারও দাবি করেছিলেন তিনি। বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের লেটার হেডেই এই চিঠি লিখেছিলেন ভাদু শেখ। ঘটনায়, রামপুরহাটের এসডিপিওর ভূমিকা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। চাপের মুখে নবান্নের থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছিল। সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল রামপুরহাটের এসডিপিও সায়ন আহমেদকে। এবার সিবিআই অফিসারদের সামনে ফের একবার প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা। রাজ্য পুলিশের গাফিলতির যে অভিযোগ শুরু থেকে উঠে আসছিল, তা এবার আরও চওড়া হল।
আরও পড়ুন : Damayanti Sen : দময়ন্তীতে আস্থা হাইকোর্টের, দশ বছর পর ফের শিরোনামে দুঁদে আইপিএস অফিসার