Anubrata Mondal on COVID19: ‘ওসব শিক্ষা-ফিক্ষা ডকে উঠে যাবে!’

Birbhum: অনুব্রতর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। 

Anubrata Mondal on COVID19: 'ওসব শিক্ষা-ফিক্ষা ডকে উঠে যাবে!'
বিতর্কের কেন্দ্রে 'কেষ্ট', নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 1:08 PM

বীরভূম:  রাজ্যে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে করোনা। ইতিমধ্যেই উৎসব-আয়োজন মিটতেই কড়া বিধিনিষেধের পথে নবান্ন। রাজ্যজুড়ে ইতিমধ্যেই আংশিক লকডাউন শুরু হয়েছে। আপাতত বন্ধ থাকছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। অন্তত এমনটাই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। রবিবার, দলীয় একটি বৈঠকে এ বার রাজ্যের তরফে জারি নির্দেশিকা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্কুল-কলেজ বন্ধের বিষয়ে জানতে পারেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাতে তাঁর মন্তব্য, “এতে শিক্ষা-ফিক্ষা সমস্ত কিছু ডকে উঠে যাবে।” অনুব্রতর (Anubrata Mondal) এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সমস্ত রেস্টুরেন্ট, সিনেমা হল যখন ৫০ শতাংশ প্রবেশার্থী নিয়ে খোলা থাকতে পারে, তখন কেন বন্ধ রাজ্যের স্কুল-কলেজ? এ প্রশ্ন তুলতেই অনুব্রত বলেন,  “রাজ্যকে বাঁচাতে গেলে এটি করতেই হত। কিছু করার নেই, বাচ্চা ছেলেদের কোভিড হয়ে গেলে আরও মুশকিল হবে। তবে এতে শিক্ষা ফিক্ষা সমস্ত কিছু ডকে উঠে যাবে। বাড়িতে বসে পড়াশোনা হয় না। স্কুলে যে জিনিসটা হয় সেটা কি আর বাড়িতে বসে হয়।”

অন্যদিকে, কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বরাবরই সরকারকে নিশানা করেছে রাজ্যের বিরোধী শিবির। বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার কথায়, “রাজ্যের শিক্ষার এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী তৃণমূলই। শিক্ষা ব্যবস্থা ডকে তুলে স্কুল-কলেজগুলোকে দলের কার্যালয় করা হয়েছিল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সত্যি কথাটা বলে ফেলেছেন এই সময়ে।”

এদিকে, অনুব্রতর এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে ঘাসফুলের অন্দরে। যদিও শাসক শিবিরের একাংশের মত, অনলাইন আর অফলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার পার্থক্য বোঝাতেই ওই মন্তব্য করেছেন অনুব্রত। গ্রামের সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ুয়া সংখ্যা এমনিতেই কম। করোনাকালে আরও বিশেষ করে স্কুলছুটের পরিমাণ বেড়েছিল। মাঝে স্কুল খোলাতে শিক্ষক ও প্রশাসনের উদ্যোগে বাচ্চাদের আবার স্কুলে ফিরিয়ে আনার নানারকম চেষ্টা চলছিল। সেই প্রক্রিয়াও ফের বন্ধ হতে চলেছে।

প্রসঙ্গত, রবিবারই রাজ্যে আংশিক লকডাউনের নির্দেশ বলবৎ হয়। সেই নির্দেশিকায়, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় আপাতত বন্ধের সিদ্ধা্ন্ত নেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কী হবে, কী করেই বা পঠনপাঠন চলবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। রয়েছে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও। তাহলে? সব মিলিয়ে কার্যথ থমকে গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা। সেখানে, খোদ শাসক দলের নেতার এই মন্তব্যে কার্যত বিতর্ক দেখা দিয়েছে।

আরও পড়ুন: COVID19 Protocol in Markets: পিল পিল করছে কালো কালো মাথা, মুখে নেই মাস্ক! ভয় ধরাচ্ছে বাজারের চালচিত্র…