AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Viral Audio Clip On Anubrata Mondal Issue: সাদা পাতায় প্রেসক্রিপশন! চিকিৎসককে নির্দেশ সুপারের, শুনুন ভাইরাল অডিয়ো

Viral Audio Clip On Anubrata Mondal Issue: দেখুন সেই বিস্ফোরক অডিয়ো ক্লিপ। অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

Viral Audio Clip On Anubrata Mondal Issue: সাদা পাতায় প্রেসক্রিপশন! চিকিৎসককে নির্দেশ সুপারের, শুনুন ভাইরাল অডিয়ো
ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপ
| Edited By: | Updated on: Aug 10, 2022 | 12:25 PM
Share

কলকাতা: এসএসকেএম হাসপাতালের মেডিক্যাল বোর্ড ‘ক্লিনচিট’ দিয়েছিল। কিন্তু রাতারাতি বাড়িতে পৌঁছন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক দল। রাতারাতি বদলে যায় অনেক কিছুই। বোলপুরের চিকিৎসকের কথায়, পাইলসের সমস্যা বেড়েছে অনুব্রতর। মলদ্বার ফুলে গিয়েছে। কিন্তু এক রাতে এমনটা পরিবর্তন কীভাবে? চিকিত্‍সক চন্দ্রনাথ অধিকারী মঙ্গলবার অনুব্রতকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই চন্দ্রনাথের সঙ্গে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুর বিস্ফোরক কথোপকথন হয়। সুপারের নির্দেশেই অনুব্রতর বাড়িতে চিকিত্‍সক দল। সরকারি প্যাড নয়, সাদা কাগজেই প্রেসক্রিপশনের নির্দেশ। দেখুন সেই বিস্ফোরক অডিয়ো ক্লিপ। অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।

(অনুব্রতর বাড়ি যাওয়ার আগে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে চিকিৎসকের কথোপকথন)

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী : বলছি এখন এই ইডি, ফিডি চলছে এখন কি বাড়িতে গিয়ে দেখাটা উচিত্‍ হবে? ওঁকে হাসপাতালে আসতে বলুন না।

ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মু, সুপার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল: না না অসুবিধা
কিছু নেই। বাড়িতে গিয়ে দেখলে কী আছে? অসবিধা কী?

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: তাহলে
একজন সিস্টারকেও যেতে বলুন।

ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মু, সুপার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল: হ্যাঁ গাড়িতে করে পাঠাচ্ছি।

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: হ্যাঁ, তাহলে একজন সিস্টার, আমি আর শুভাশিস। ওঁর তো মেডিসিনেরও রোগ আছে।

ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মু, সুপার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল: আপাতত আপনি দেখান না। এখন কিছু দরকার নেই।

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: ঠিক আছে। একজন
সিস্টারকে পাঠাতে বলুন। আর আপনি ওখান দিয়ে যাচ্ছেন তো?

ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মু, সুপার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল: হ্যাঁ, হ্যাঁ, ঠিক আছে আমি বলে দিচ্ছি

(রিপোর্ট লেখার বিষয়টি নিয়ে কথা)

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: স্যার ওটা যে লিখব, ওটা কি হসপিটালের টিকিটে লিখব? নাকি কোথায় লিখব?

ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মু, সুপার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল: না না কিছু লেখালিখির দরকার নেই। আপনি আগে যান তো।

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: না আমাকে প্রেসক্রিপশন তো করতে হবে।

ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মু, সুপার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল: এমনি কাগজেই প্রেসক্রিপশন করুন না।

ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মু, সুপার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল: ব্ল্যাঙ্ক পেজে করবেন। এমনি কোনও অসুবিধা নেই।

ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মু, সুপার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল: হ্যাঁ, হ্যাঁ ব্ল্যাঙ্ক
পেজ, ব্ল্যাঙ্ক পেজ, ব্ল্যাঙ্ক পেজ।

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী : ঠিক আছে, শুভাশিসকে
একটা ব্ল্যাঙ্ক পেজ নিয়ে যেতে বলছি।

ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মু, সুপার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল: হ্যাঁ হ্যাঁ, ঠিক আছে।

( এরপর অনুব্রতর বাড়িতে আসেন ওই চিকিৎসক। তাঁকে দেখে বেরিয়ে যাওয়ার পর তাঁর কাছে  হাসপাতালের এক কর্মী ফোন করেন)

হাসপাতাল কর্মী: স্যার আমি তাপস বলছি, হাসপাতাল থেকে। একটু আগে আপনার সাথে অনুব্রত মণ্ডল স্যারের বাড়িতে গিয়েছিলাম। আপনি যে প্রেসক্রিপশনটা দিয়েছেন, ওখানে আপনার সইয়ের ওপরে একটা স্ট্যাম্প দেওয়ার জন্য বলেছিল।

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: হ্যাঁ হ্যাঁ

হাসপাতাল কর্মী: এটাতে তো আমাদের হসপিটালের সিল দেওয়া যাবে না। আপনার নামে সিল দিতে হবে।

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: আমার নামে সিল দেবেন? হসপিটালের সিল দিয়ে দিন না।

হাসপাতাল কর্মী: হসপিটালের সিল? সুপার স্যার নাকি বলল, হসপিটালের নামে সিল দেওয়া যাবে না।

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: ওহ! আমার নামে আপনি সিল পাবেন ড্রিমল্যান্ডে। ড্রিমল্যান্ড নার্সিং হোম থেকে আমার সিল নিয়ে নিন।

হাসপাতাল কর্মী: তাহলে আমরা ওখানে গিয়ে সিল মেরে নিচ্ছি?

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: হ্যাঁ, ওখান থেকে আমার নামে সিল মেরে নিন।

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: অতো ভয়ের কিছু নেই। ড্রিমল্যান্ডে যান গিয়ে আমার সিল
নিয়ে নিন।

হাসপাতাল কর্মী: আপনাকে যদি ফোন করে, তাহলে একটু বলে দেবেন।

ডাঃ চন্দ্রনাথ অধিকারী: আপনি বলুন যে ডঃ অধিকারীর একটা প্রেসক্রিপশন আছে সিল দিতে হয়েছে।

হাসপাতাল কর্মী: ঠিক আছে স্যার।


আবারও উল্লেখ্য, এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি TV9 বাংলা।