TMC leader New Controversy: ‘ক্ষমতায় আসতে গেলে কেস খেতে হবে’, অনুব্রতর গ্রেফতারির পর ‘বেফাঁস’ নানুরের গদাধর
Birbhum: গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরপর থেকেই বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় অনুব্রত-অনুগামীদের সরব হতে দেখা গিয়েছে।
বীরভূম: অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর তাঁর ‘অনুগামী’রা ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সভা সমাবেশে কড়া বার্তা দিয়েছে বিরোধীদের। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁদের বক্তব্যে দানা বেধেছে বিতর্ক। এবার বিস্ফোরক নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা। বিরোধীদের মসনদে বসার ইচ্ছাকে কটাক্ষ করে নানুরের এই ‘দাপুটে’ তৃণমূল নেতা বলেন, চড়াম চড়াম আর নকুলদানা বিলি করে ক্ষমতায় আসা যাবে না। ক্ষমতায় আসতে গেলে কেস খেতে হবে। সেই কেস, ‘মার্ডার’, ‘ডাকাতি’র, মন্তব্য গদাধরের।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এরপর থেকেই বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় অনুব্রত-অনুগামীদের সরব হতে দেখা গিয়েছে। একযোগে ইডি-সিবিআই এবং বিরোধীদের এক হাত নিচ্ছেন তাঁরা। সেইসব বক্তব্য থেকে জন্ম নিচ্ছে বিতর্কও। ইলামবাজারের দুলাল রায়, রামপুরহাটের ত্রিদিব ভট্টাচার্য, দুবরাজপুরের পীযূষ পাণ্ডে, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের অরূপ মিদ্যার বক্তব্যে।
শনিবার নানুরের খুজুটিপাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের বিক্ষোভ মিছিল হয়। মিছিল শেষে নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গজাধর হাজরাকে বলতে শোনা যায়, “পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম ভাবছে আমরা তৃণমূলকে সরিয়ে সিবিআইয়ের মাধ্যমে, ইডির মাধ্যমে ২০২৬ সালে ক্ষমতায় আসবে। একজন বলছে নাকি ‘২৪ সালেই তৃণমূল কংগ্রেসকে সরিয়ে দিয়ে লোকসভা, বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করব। সে ব্যক্তিটা কে আমি আর নাম বললাম না। সে ভাবে, সে মুখ্যমন্ত্রীর সমান। কারও কথায় সে নাকি উত্তর দেয় না। ভুলে যাবেন না, এই খুজুটিপাড়ায় কেরিম খানের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস এসেছে। অত সহজে ছেড়ে দেব?”
গদাধর বলেন, গুড় বাতাসা, নকুলদানা আর ঢাকে চড়াম চড়াম বোল তুলে ভোটে জেতা সহজ হবে না। গদাধর হাজরার কথায়, “এই দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী এবং এখানকার কিছু বিজেপি নেতা, সিপিএম নেতা, কংগ্রেস নেতা ভাবছে চড়াম চড়াম নকুলদানা দিয়ে মানুষের মন জয় করব। অত সহজ নয়। কেস খাবে। তৃণমূল কংগ্রেস এমনি ক্ষমতায় আসেনি। যারা বিরোধী দল আছেন, আসুন, কেস খান, মার্ডার কেস খান, ডাকাতি কেস খান তবে তো দলটা ক্ষমতায় আসবে। আপনারা ভাবছেন সিবিআই, ইডি দিয়ে ক্ষমতায় আসবেন। বিজেপি তো দল নয়, সার্কাসের দল। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে শুভেন্দুর মিল নেই, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের সম্পর্ক ভাল নয়। সিপিএমের কথা আর বললামই না। এখনও যাদের পাকা পাকা চুল, সেই কয়েকজনকে ধরে নিয়ে সিপিএম এখনও রাজনীতি করছে।”