কোচবিহার: ফের বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সদস্য মুন্না শাহকে আটক করে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে তাঁর বাবা-মা ছুটে গেলে বৃদ্ধ বাবাকেও মারধর করার পাশাপাশি ২ মাসের সন্তানকে মাটিতে ছুড়ে ফেলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি দিনহাটার।
মুন্নার অভিযোগ, রবিবার রাতে তিনি দলের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেইসময়, তাঁকে পেছন থেকে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ওই দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। এদিকে ছেলেকে মারধর করতে দেখে ছুটে আসেন মুন্নার বাবা। কিন্তু তিনিও ওই দুষ্কৃতীদের হাতে ব্যাপক মারধর খান বলে অভিযোগ। এমনকী, মুন্নার ২ মাসের সদ্যোজাত সন্তানকে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। আপাতত ওই বিজেপি যুব নেতার বাবা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা।
যদিও, হামলার অভিযোগ সম্পূ্র্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শাসক শিবিরের দাবি, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এই প্রথম নয়, নির্বাচন আবহে হোক বা বিভিন্ন সময়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দিনহাটা। কখনও তৃণমূল বিজেপি সংঘর্ষ বা শাসক শিবিরের অন্দরের কোন্দল, বরাবরর রাজনৈতিক অশান্তির ছবিই দিনহাটায় উঠে এসেছে।
কিছুদিন আগেই দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ভেটাগুড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের খারিজা বালাডাঙ্গা এলাকায় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধার হয়। জানা যায়, ওই ব্যক্তির নাম মুন্সের আলি। এলাকায় তিনি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসাবে পরিচিত। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। উদ্ধার হয় তাজা বোমা। এছাড়াও উদ্ধার করা হয় বোমা তৈরির সরঞ্জাম।
উপনির্বাচনে উদয়ন ঝড়ে সব লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল কোচবিহারের রাজনৈতিক চিত্র। ধোপেই টেকেনি বিজেপির সেই মেজাজ। অশোক মণ্ডল তাঁর কাছে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে যান। ১ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫ ভোটে জয়ী হন উদয়ন গুহ। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৩১১। বিজেপির অশোক মণ্ডল পান ২৫ হাজার ৩০৬ টি ভোট।
আরও পড়ুন: COVID19 Protocol: ‘শাসক দলের করোনা হয় না!’ মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়ালেন এগরার বিধায়ক
আরও পড়ুন: Kamarpukur Math: ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ! অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল কামারপুকুর মঠ
আরও পড়ুন: Sougata Roy on Shankudeb Panda: ‘বিজেপির রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গিয়েছে, সবাই তৃণমূলে ফিরবে’