Dinhata: নির্বাচনী প্রচারে সন্ত্রাসের অভিযোগ! ‘ভয় কাটাতে’ পথে নামলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার

WB By-Election 2021: একুশের ভোটে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের জয়জয়কারের মধ্যেও দিনহাটা সহ কোচবিহার জেলা জুড়েই তাদের ভরাডুবি হয়। জেলার ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ২ টি আসন দখল করে তৃণমূল।

Dinhata: নির্বাচনী প্রচারে সন্ত্রাসের অভিযোগ! 'ভয় কাটাতে' পথে নামলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার
প্রচারে বেরিয়ে অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী। (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2021 | 10:02 PM

কোচবিহার: দিনহাটা (Dinhata) কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘিরে সরগরম কোচবিহার। বিজেপি (BJP) অভিযোগ করছে তাদের প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ভোট যাতে না দিতে পারেন, তার জন্য সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। বারংবার এমন ওঠায় দিনহাটার সাধারণ মানুষের ভয় কাটাতে রাস্তায় নামলেন কোচবিহারের জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার।

উপনির্বাচন ঘিরে যেন আতঙ্ক গ্রাস করছে দিনহাটাবাসীকে। এমনটাই অভিযোগ বারবার উঠেছে। আগামী ৩০ অক্টোবর দিনহাটা উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী শিবির থেকে বারবার বলা হয়েছে। তাই শনিবার দিনহাটার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার সুমিত কুমার এবং কোচবিহার জেলাশাসক পবন কাদিয়ান। আগামী ৩০ তারিখ নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষ যাতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই বিষয়ে ভোটারদের আশ্বস্ত করতেই গ্রামে গ্রামে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন জেলাপ্রশাসনের দুই শীর্ষ আধিকারিক।

২০২১ বিধানসভা সাধারণ নির্বাচনের পর বিভিন্ন ভাবে সন্ত্রাস এবং অত্যাচার হয়েছিল বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় গ্রামের মানুষ কিছুটা আশ্বস্ত হলেও পুনরায় উপ নির্বাচন চলে আসায় ফের পূর্বের ন্যায় পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বেশ কিছু এলাকায় পুনরায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। আতঙ্ক শুধু ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রেই নয়। রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং সন্ত্রাসের আতঙ্ক গ্রাস করেছে দিনহাটার গ্রাম ও শহরে।

এই প্রেক্ষিতে জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, নির্বাচন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ভাবে করার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে। পুলিশ প্রশাসনের উপরেও নির্দেশিকা দেওয়া রয়েছে। কোথাও কোনও রকম সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হওয়ার আগেই তা মোকাবিলা করতে সক্ষম প্রশাসন। সুতরাং নির্ভয় সাধারণ মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে এটাই প্রশাসনের একমাত্র লক্ষ্য।

এদিকে এদিনই বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল অভিযোগ করেন, প্রচারে বেরনোর পর ভেটাগুড়ির সাধারণ মানুষ তাঁকে কাছে পেয়ে জানান, তৃণমূলের পক্ষ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে কেউ যেন ভোটকেন্দ্রে না যান। কিন্তু এলাকার মানুষ ভোট দিতে চান। তৃণমূল নেতাদের হুমকির ভয়ে তাঁরা ভোট দিতে যেতে চাইছেন না তাঁরা। সেক্ষেত্রে উপযুক্ত নিরাপত্তা পেলে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন অশোক মণ্ডল।

তার আগেও একাধিকবার প্রচারে বেরিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন খোদ বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল। অশোক মণ্ডল যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই পিছু পিছু তৃণমূলের লোকজন গিয়ে হাজির হচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এক জায়গায় প্রার্থী অশোক মণ্ডল ও বিধায়ক মিহির গোস্বামী হেনস্তারও অভিযোগ ওঠে। ধাক্কাধাক্কি করার অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতারা। স্বভাবতই দিনহাটার উপনির্বাচনের প্রচার ঘিরে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, একুশের ভোটে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের জয়জয়কারের মধ্যেও দিনহাটা সহ কোচবিহার জেলা জুড়েই তাদের ভরাডুবি হয়। জেলার ৯ টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র ২ টি আসন দখল করে তৃণমূল। তাদের পরাজিত প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন খোদ রাজ্যের দুই মন্ত্রী- রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং বিনয়কৃষ্ণ বর্মন। এদিকে মাত্র ৫৭ ভোটে দিনহাটা থেকে জেতার পরও বিজেপি-র নিশীথ প্রামাণিক বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। বিজেপি সাংসদ এখন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই প্রেক্ষিতে ফের উপনির্বাচনের মুখোমুখি হয়েছে দিনহাটা।

আরও পড়ুন: Udayan Guha: ৫৭-র বদলা নিতে মরিয়া উদয়ন, ভোটের আগে ভাঙন ধরালেন বিজেপিতে